বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নতুন অতিথি
প্রকাশিত : ০৯:০০ এএম, ৭ জুলাই ২০১৮ শনিবার
গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে সাদা সিংহের পর এবার জেব্রা পরিবারেও আনন্দ বইছে। গত সোমবার এই পরিবারে একটি ফুটফুটে শাবকের জন্ম হয়েছে। সদ্য জন্ম নেওয়া শাবকসহ এ সাফারি পার্কে জেব্রার সংখ্যা এখন ১৭।
সাফারি পার্কের সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল ছিল শাবকটি। কিন্তু গত দুই দিনে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। সে তার দলের সঙ্গে দূরন্তপনায় মেতে রয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রতিটি প্রাণীর বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর যেভাবে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়, সেভাবেই নজরে রাখা হয়েছে শাবকটিকে। এটি মদ্দা না মাদি তা এখনো জানতে পারেননি তারা।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, গত বছর থেকে বিভিন্ন সময়ে এ পার্কে বাচ্চা জন্ম দিয়েছে আরো তিন মা জেব্রা। পার্কের বন্য প্রাণী তত্ত্বাবধায়ক সরোয়ার হোসেন খান জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে স্বাভাবিকভাবে একটি মা জেব্রা বাচ্চা প্রসব করে। ভূমিষ্ঠ হওয়ার কয়েক মিনিট পরই বাচ্চাটি তার মায়ের পিছু পিছু ঘুরতে থাকে। কিছু সময় পর পরই সে তার মায়ের দুধ পান করছে।
তিনি জানান, জেব্রা শাবক জন্মের ছয় থেকে সাত মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করে। তবে এক মাস পর থেকে ঘাস খেতে অভ্যস্ত হয়।
পার্কের কর্মকর্তারা জানান, স্তন্যপায়ী শ্রেণির ইকুইডি গোত্রের একটি নিরেট-খুরযুক্ত চতুষ্পদী প্রাণী জেব্রা। ঘোড়া ও গাধার নিকট প্রজাতি এরা। শরীরের সাদা-কালো ডোরা এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। ডোরার দাগগুলো প্রতিটি জেব্রার ভিন্ন রকম হয়। ঘাড়ে কেশরসদৃশ খাড়া চুল থাকে। এদের ওজন প্রায় ৬৪০ থেকে ৭৫০ পাউন্ড এবং কাঁধের কাছে এর উচ্চতা ৪৭ থেকে ৫৫ ইঞ্চি। দেহের দৈর্ঘ্য ছয় থেকে আট ফুট। স্ত্রী জেব্রা এক থেকে তিন বছর পর একটি বাচ্চা প্রসব করে। এদের গর্ভধারণের সময় প্রায় ৩৭০ দিন। জন্মের পর শাবকগুলো মায়ের সঙ্গেই থাকে। এরপর ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হয়ে মায়ের সঙ্গ ত্যাগ করে। তবে সামাজিক জীব হিসেবে এরা একই পরিবারভুক্ত হয়ে বিচরণ করে। জেব্রার স্বাভাবিক জীবনকাল প্রায় ২০ বছর।
সুদান, উগান্ডা, কেনিয়াসহ সাহারা মরু এলাকার দক্ষিণে সমতলভূমিতে এদের বাস। সবুজ ঘাস ও কচি শাক-সবজি এদের প্রধান খাদ্য।
এসএ/