ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে জনগণের কাছে গিয়েছিলেন

প্রকাশিত : ০১:৪৩ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০২:০১ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৮ শনিবার

সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সময় খুনিদেরকে পুরষ্কৃত করা হয়েছিল। খুনিরা অবাধে বিচরণ করেছিল দেশে। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ ও নির্বাচন করার অধিকার দিয়ে গিয়েছেন।

আজ শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বলেন, বাংলাদেশে তিনি (বঙ্গবন্ধু) একমাত্র নেতা যিনি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়িয়েছিলেন, সাধারণ মানুষের কাছাকাছি গিয়েছিলেন। সাধারণত মানুষ পদ ছাড়ে মন্ত্রিত্বের জন্য। আর বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন সংগঠনের জন্য।

অতীতের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, পচাত্তরের পর ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। রিফিউজি হয়ে ছিলাম। পাসপোর্টটা পর্যন্ত দেয়নি তখনকার সরকার। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে। আমি ছোট ছোট দুটো বাচ্চা রেখে দলের জন্য কাজ করার জন্য দেশে চলে আসি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার রাজনীতি জীবনের একটাই লক্ষ্য। বাংলাদেশের মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরন করে আমি কাজ করতে চাই। আওয়ামী লীগের উপর বিভিন্ন সময় আসা আঘাতের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হীরা যেমন যত কাটে তত দ্যুতি বের হয় তেমনি আওয়ামী লীগে যতো আঘাত এসেছে ততো শক্তিশালী হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইউনিয়ন পর্যায়ে দলের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার দ্বিতীয় দিন আজ।

আ আ / এআর