রাইফার মৃত্যু: দুই চিকিৎসককে বহিষ্কার
প্রকাশিত : ০৪:১৩ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৮ শনিবার
চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ চট্টগ্রামে শিশু রাইফার মুত্যু হয়েছে প্রমাণিত হওয়ায় বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন ডা. দেবাশীষ সেনগুপ্ত ও ডা. শুভ্র দেব। শনিবার দুপুরে ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী এতথ্য নিশ্চিত করছেন। তিনি বলেন, তদন্তে ওই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে নগরীর বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালের চিকিৎসকদের অবহেলায় শিশু রাইফার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি। তার আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্তেও একই চিত্র উঠে আসে।
তদন্তে এ ঘটনায় হাসপাতালের তিন চিকিৎসক- শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বিধান রায় চৌধুরী এবং ম্যাক্স হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ সেনগুপ্ত ও ডা. শুভ্র দেবকে দায়ী করা হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক ও ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চার দফা সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নে (সিইউজে) তদন্ত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। এ সময় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, `তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি চট্টগ্রাম বিএমএ সভাপতি, সিইউজের সভাপতি এবং চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে দোষী ব্যক্তিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেবে আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ।
গত ২৮ জুন জ্বর ও গলাব্যথা নিয়ে ম্যাক্স হাসপাতালে সাংবাদিক রুবেল খানের আড়াই বছরের কন্যাশিশু রাইফাকে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকদের চরম অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার বলি হয়ে ভর্তির ৩০ ঘণ্টা পর মারা যায় শিশু রাইফা। রাইফা খানের মৃত্যুর একদিন পর সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। পাঁচদিন তদন্ত শেষে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিইউজের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস। রাইফার বাবা-মা, ম্যাক্স হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লিখিত ও মৌখিক জবাবসহ মোট ১২ জনের বক্তব্য নিয়ে এবং সংশ্নিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা করে তদন্ত প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
টিআর/ এআর