অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে জিনজিরা ও ধোলাইখালের শিল্প(ভিডিও)
প্রকাশিত : ০৪:১৩ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৮ শনিবার
বুড়িগঙ্গা পাড়ের জিনজিরার ছোটো ছোটো কারখানায় তৈরি হচ্ছে বহু পণ্য। বিদেশ থেকে আমদানি করা অনেক জিনিস এমনকি বড় বড় মেশিনও হুবহু তৈরি করে দেন এখানকার কারিগররা। আর ধোলাইখালে তৈরি হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ ও যন্ত্রাংশ তৈরির মেশিন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারি সহায়তা পেলে জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে জিনজিরা ও ধোলাইখালের শিল্প। তবে আশার কথা প্রশিক্ষন ও অর্থসহায়তা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে চায় এস এম ই ফাউন্ডেশন।
নবাবী আমল থেকেই ঢাকার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায় জিনজিরা। ব্রিটিশ আমলে জিঞ্জিরা হাটের কাঁচাপাট, পাটজাত দ্রব্য, টিনজাত সামগ্রী, মৃৎশিল্প, লৌহ সামগ্রীরসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি বেশ কিছু শিল্প গড়ে উঠে।
দ্বিতীয় জাপান কিংবা মেইড ইন জিনজিরা ইত্যাদি বহু নামে পরিচিত ঢাকার দক্ষিণ উপকণ্ঠের জিনজিরা। জিনজিরার কারাখানাগুলোতে তৈরি হচ্ছে ঢেউটিন, স্ক্রু, নাট-বল্টু, ক্লাম, তারকাটা, জিআই তার, বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, ওয়াশিং টব, পিতলের বার্নারসহ শতাধিক পণ্য।
পরিত্যক্ত লোহা দিয়েও তৈরি হয় বহু পণ্য। জিঞ্জিরার এসব ক্ষুদ্র শিল্প বিকাশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলেও সরকারিভাবে এর উন্নয়নে উল্লেযোগ্য কোনও পদক্ষেপ নেই।
সিংক: আকতার জিলানী খোকন, সভাপতি, তাওয়াপট্টি ব্যবসায়ী সমিতির
ধোলাই খালে বহু আগে থেকেই চালু হয়েছে গাড়ীর যন্ত্রংশ আর নতুন নতুন মেশিনের কারখানা। যে কোন মেশিন বা যন্ত্রাংশ একবার দেখলেই তৈরী করে দিতে পারেন এখানকার কারিগররা। ওষুধ শিল্পে ব্যাবহৃত অধুনিক সব যন্ত্রপাতিও তৈরি হচ্ছে এখানে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ধোলাইখাল এখন মিনি মোটর ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন। তৈরি হচ্ছে নিনিয়াম, ব্রেক ড্রাম, প্যাড ড্রাম, ব্রেক সিলিন্ডার, পিস্টন। এ ছাড়া লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৈরী হচ্ছে, শ্যালো পাম্পের ইঞ্জিন, টেম্পো ও ট্রাক্টরসহ অনেক ধরনের যন্ত্রাংশ।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে সাধ্যমতো অর্থ ও প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা জানলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।
সিংক: ড. হাবিব উল্লাহ, চেয়ারপার্সন, এসএমই ফাউন্ডেশন।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুধু তৈরী পোশাক নির্ভর অর্থনীতির ওপর ভর না করে উদীয়মান শিল্প বিকাশেও নজর দেয়া দরকার।
সব ইতিবাচক খবরের মধ্যে হতাশাজনক একটি বিষয় হলো, এখানকার বেশির ভাগ মালিকদের ভারনায় নেই শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি।
সরকারের সুনজর পেলে এই শিল্প ্আরো বিকশিত হবে- এ প্রত্যাশা সবার।