হেড টু হেড রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া: কে এগিয়ে
প্রকাশিত : ০৬:৫৪ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৬:৫৬ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৮ শনিবার
সবাইকে চমকে দিয়ে ৩২ দলের মধ্যে ফিফা র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে পেছিয়ে থাকা রাশিয়া খেলছে এখন শেষ আটে। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা শেষ পাঁচটি স্বাগতিক দলই খেলেছে সেমিফাইনাল।এরই ধারা অব্যাহত রাখতে রাশিয়াকে পেরোতে হবে ক্রোয়েশিয়া-বাধা। আজ সোচিতে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় মুখোমুখি হবে এই দু’দল।
এখন দেখে নেওয়া যাক এই দুই দলের পরিসংখ্যান কি বলে?
*রাশিয়ার গোলরক্ষক ইগর আকিনফিয়েভের নৈপুণ্যে শেষ ষোলোয় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় স্বাগতিক এই দেশ।
* ডেনমার্ককে শেষ ষোলোয় পেনাল্টি শুটআউটে পরাজিত করে ক্রোয়েশিয়া । ৩-২ ব্যবধানের জয়ে গোলরক্ষক দানিয়েল সুবাসিচ ঠেকান তিনটি শট।
* গ্রুপ পর্বের প্রথম দু’ম্যাচে সৌদি আরবকে ৫-০ ও মিসরকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেয় রাশিয়া। শেষ ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরে এ-গ্রুপের রানার্স আপ হয়ে নকআউট পর্বে পা রাখে স্বাগতিকরা।
*ডি-গ্রুপে তিন ম্যাচই জিতে পুরো নয় পয়েন্ট নিয়ে নকআউট পর্বে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। সেখানে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় তারা।
* সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শেষ আটে এসে পৌঁছেছে রাশিয়া। ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায় সোভিয়েত ইউনিয়নের সেরা অর্জন ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা।
* ১৯৯৮ সালে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিষেকে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল ক্রোয়েশিয়া। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হারের পর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় পায় তারা।এটাই বিশ্বমঞ্চে দেশটির সেরা পারফরম্যান্স।
* ১৯৯১ সালে যুগোস্লোভিয়া থেকে আলাদা হওয়ার পর ছয়টি বিশ্বকাপের পাঁচটিতেই খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ক্রোয়েশিয়া।
* আর্তেম জুবা ও দেনিস চেরিশেভ চলতি টুর্নামেন্টে রাশিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে গোল করেছেন। অন্যদিকে দুই গোল করে ক্রোয়েশিয়ার সেরা গোলদাতা অধিনায়ক লুকা মডরিচ।
* বিশ্বকাপে কখনই রাশিয়ার সঙ্গে দেখা হয়নি ক্রোয়েশিয়ার। সব মিলিয়ে দু’দলের আগের তিন লড়াইয়ে কোনো জয় নেই রাশিয়ার। দুটি ম্যাচ হয়েছে গোলশূন্য ড্র। আর ২০১৫ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক এক প্রীতি ম্যাচে শেষ দেখায় ৩-১ গোলে জয়ী হয় ক্রোয়েশিয়া।
* বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা শেষ পাঁচটি স্বাগতিক দলই (১৯৯০ সালে ইতালি, ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স,
২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া, ২০০৬ সালে জার্মানি ও ২০১৪ সালে ব্রাজিল) সেমিফাইনালে খেলেছে।
* টুর্নামেন্টের প্রথম দু’ম্যাচে নাইজেরিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-০ ও ৩-০ ব্যবধানে জয় পাওয়া ক্রোয়েশিয়া নিজেদের শেষ দু’ম্যাচে একটি করে গোল হজম করেছে।২০০২ সালের পর থেকে এক আসরে আর কখনই টানা তিন ম্যাচে গোল হজম করেনি তারা।
* ইউরোপের কোনো দেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপে সাতটি ম্যাচ খেলে মাত্র একটি হার ক্রোয়েশিয়ার (জয় পাঁচটি, ড্র একটি)। অন্যদিকে বিশ্বমঞ্চে কখনও কোনো ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষকে হারাতে পারেনি রাশিয়া(ড্র একটি, হার তিনটি)। চলতি আসরের শেষ ষোলোয় টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে তারা। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটির ফল ছিল ১-১।
* বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার শেষ ১২টি গোলের ১০টিই এসেছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।
* এর আগে বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দু’বার খেলেছে ক্রোয়েশিয়া। দু’বারই হারতে হয়েছে তাদের। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-১ গোলে আর ২০১৪ সালে গ্রুপপর্বে ব্রাজিলের কাছে ৩-১ ব্যবধানে হার মানতে হয় ক্রোটদের। (সুত্রঃ ওয়েবসাইট)
কেআই/