স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন ৯ নম্বর স্বামী!
প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৮ রবিবার
সাধারণত স্বামীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে দেখা যায় স্ত্রীদের। পারিবারিক কলহ অথবা দাম্পত্য সমস্যা নিয়ে এমন মামলা মোকদ্দমা বেশ সাধারণ ব্যাপার। কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীর বিরুদ্ধেও স্বামীর মামলা করতে দেখা যায়। কিন্তু স্বামী যদি হয় ৯ নম্বর স্বামী তাহলে কেমন হয়? এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উত্তরাঞ্চলের জেলা জয়পুরহাটে। স্ত্রীর বিরুদ্ধে যে স্বামী মামলা করছেন তিনি তাঁর স্ত্রীর নবম স্বামী।
জয়পুরহাটের ‘গ’ অঞ্চলের আমলি আদালতে মামলাটি করেন শিহাব উদ্দীন। স্ত্রী মেরিনাকে ‘প্রতারক’ উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন তিনি। মামলায় মেরিনা ছাড়াও আসামী করা হয় আরও ছয় জনকে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মেরিনা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রামশালা গ্রামের মৃত হাতেম আলী সরদারের মেয়ে। শিহাব উদ্দীনের বাড়ি মাদারীপুরে। সেখানকার কালকিনি উপজেলার আন্ডাচর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে শিহাব উদ্দীন।
মেরিনার সাথে ইসাহাক নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচয় হয় শিহাবের। এরপর ফোনালাপ শুরু আর সেখান থেকে প্রেম। সম্পর্কের জেরে প্রেমিক শিহাবের কাছ থেকে কয়েক দফায় পাঁচ লাখ টাকা নেয় মেরিনা। এক পর্যায়ে বিয়েও করেন দু’জনে।
কিন্তু বিয়ের পর শিহাব উদ্দীন জানতে পারেন, মেরিনার ইতিপূর্বে আরও ৮ জন স্বামী ছিল। প্রত্যেক্যে বিয়ে করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তালাক দিয়েছেন মেরিনা। মূলত মেরিনা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য বলে মামলায় বলা হয়। প্রেম বা বিয়ের ফাঁদে ফেলে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়াই এই চক্রের কাজ বলে দাবি করা হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, গত ৭ মে মেরিনা ঢাকাতে স্বামীর বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার বোন বেলী সেখানে যান। তার মেয়ের চাকরির কথা বলে ধার হিসেবে সেসময় আরও ২ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।
ওই দিনই মেরিনা ও বেলী জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। তারা যাওয়ার সময় শিহাবের ঘর থেকে মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে যান। মেরিনা তার বাবার বাড়িতে এসে স্বামী শিহাব উদ্দীনের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর খোঁজ নিতে গিয়ে শিহার জানতে পারেন যে, মেরিনা তার চতুর্থ স্বামী রুহুল আমীনের সাথে বসবাস করছেন।
শিহাব উদ্দীন তাদের প্রতারণা বুঝতে পেরে ধার দেয়া দুই লাখ টাকা ফেরত চান। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে মেরিনাসহ তার পরিবারের লোকজন তাকে বেঁধে রেখে মারধর করে এবং আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করে।
পরে শিহাব উদ্দীন কৌশলে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে জয়পুরহাট ‘গ’ অঞ্চল আমলি আদালতে প্রতারক স্ত্রী মেরিনা, তার বড় ভাই মোফা, ভাবি আয়শা, বড় বোন বেলী, ভাগনি জুলেখা ও ভাতিজা বউ পরীসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মেরিনার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
//এস এইচ এস// এআর