উত্তরাঞ্চলে বন্যার অবনতি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৪৬ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৮ রবিবার
তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায়, উত্তরাঞ্চলে বন্যার অবনতি হয়েছে। গাইবান্ধা, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জে প্রতিদিনই পান্দিবন্দি হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। তবে, সিলেটে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
উত্তরের জেলাগুলোতে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও জামালপুরে বেড়েছে।
যমুনার প্রভাবে সিরাজগঞ্জের ৬ উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় প্রবেশ করছে বানের জল। কাজিপুর, এনায়েতপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সদর উপজেলার বেশিরভাগ গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। যমুনার সাথে পাল্লা দিয়ে শাখা নদী করতোয়া, হুরাসাগর, আত্রাই, গুমানী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি ৩৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি ও নোয়ারপাড়ার নিুাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। গত ২৪ ঘন্টায় চিনাডুলি ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়ায় যমুনার ভাঙ্গনে ১০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা ও বক্ষ্রপুত্রের পানি প্রতিদিনই বাড়ছে। জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলে ডুবে গেছে অনেক গ্রাম।
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে, এখনো পানিবন্দী রয়েছে ধরলা ও দুধকুমারের পাড়ের মানুষ। লালমনিরহাটে বানের পানি নামতে শুরু করায়, তিস্তা ও ধরলায় দেখা দিয়েছে ভাঙন।
এদিকে, টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে সুরমার পানি বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ রয়েছে চরম র্দূভোগে।
সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে- সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার নিচে নেমেছে।
দুর্গত এলাকায় সরকারি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলেও, তা পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেছে অনেকে। এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা।