ব্রিটিশ ব্রেক্সিটমন্ত্রীর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ
প্রকাশিত : ১০:২২ পিএম, ৯ জুলাই ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০১:৪৬ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে রাজনৈতিক সংকট বাড়তে থাকার মধ্যে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। এর আগে ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডেবিট ডেভিস পদত্যাগ করেন। এ নিয়ে দুজন সিনিয়র মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) নিয়ে থেরেসা মে’র পরিকল্পনার বিরোধিতা করেই পদত্যাগ করেছিলেন ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডেবিট। বরিস জনসনও একই সূত্র ধরে সোমবার পদত্যাগ করলেন।
থেরেসা মে পার্লামেন্টে তার নতুন ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে ভাষণ শুরুর কিছুক্ষণ আগে জনসন পদত্যাগ করেন। তার এ পরিকল্পনায় বহু কনজারভেটিভ এমপি’ই নাখোশ।
মে’র মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে বরিস জনসনের পদত্যাগপত্র সোমবার বিকেলে গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। বরিসের কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের ফলে অর্ধদশকের মধ্যে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক এবং বাণিজ্য নীতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ঐক্য ধরে রাখায় সরকারের ব্যর্থতাই ন্যাক্কারজনকভাবে প্রকাশ পেলো বলে বলা হচ্ছে।
বিবিসি’র রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েনসবার্গ বলেছেন, বরিস জনসনের পদত্যাগ সংকটে জর্জরিত প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি বিব্রতকর এবং জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, জনসন কেবল মন্ত্রিসভার একজন সাধারণ মন্ত্রীই নন বরং ২০১৬ সালের গণভোটে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালানোরও অগ্রভাগে ছিলেন। আর সে কারণেই তিনি সরে যাওয়ায় এখন প্রধানমন্ত্রী মে’র নেতৃত্বে চ্যালেঞ্জের বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন বাড়বে।
প্রধানমন্ত্রী এখন এ কঠিন সময় সাহসের সঙ্গে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে তার ‘বাণিজ্যবান্ধব’ ব্রেক্সিট নীতি চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর থাকবেন নাকি আরও মন্ত্রীর পদত্যাগ কিংবা নিজেরই পদত্যাগের দাবি ওঠার মুখে পড়বেন তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেবে।
২০১৯ সালের ২৯ মার্চে ইইউ ছাড়ার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের। কিন্তু এরপর যুক্তরাজ্য এবং ইইউ এর মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক কিরকম থাকবে সে ব্যাপারেই এখনো আলোচনায় সমঝোতা হওয়া বাকি রয়েছে।
ইউরোপে বেক্সিট বড় আলোচনা বিষয় হয়েছে বেশ কিছু দিন থেকেই। এবার নতুন করে যুক্ত হলো আর সমস্যা বলেই মনে করেন অনেকেই।
তথ্যসূত্র: বিবিসি।
এসএইচ/