ইউরিন ইনফেকশন প্রতিকারে ঘরোয়া চার টোটকা
প্রকাশিত : ১১:৫১ এএম, ১২ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার
আমরা যখন পানি খাই তখন তা বৃক্ক বা কিডনির মাধ্যমে ছেঁকে মূত্রনালি দিয়ে মূত্র হিসেবে বেরিয়ে যায়। মানুষের শরীরের দুটি কিডনি, দুটি ইউরেটার, একটি ইউরিনারি ব্লাডার (মূত্রথলি) এবং ইউরেথ্রা (মূত্রনালি) নিয়ে মূত্রতন্ত্র গঠিত। আর এই রেচনন্ত্রের যে কোনও অংশে যদি জীবাণুর সংক্রমণ হয় তাহলে সেটাকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বলা হয়। কিডনি, মূত্রনালি, মূত্রথলি বা একাধিক অংশে একসঙ্গে এই ধরণের ইনফেকশন হতে পারে। এই সংক্রমণকেই সংক্ষেপে ইউরিন ইনফেকশন বলা হয়। সাধারণত এই সমস্যাটি মহিলা ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে হলেও মহিলাদের মধ্যে ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। ইউরিন ইনফেকশন হলে যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় সেগুলো হলো...
- প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা লালচে হওয়া।
- প্রস্রাবে দুর্গন্ধ।
- একটু পর পর প্রস্রাবের বেগ অনুভব করলেও ঠিক মতো প্রস্রাব না হওয়া।
- প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা ব্যথা করা।
- তলপেটে বা পিঠের নিচের দিকে তীব্র ব্যথা করা।
- সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব বা কাঁপুনি দিয়ে ঘন ঘন জ্বর আসা।
- বমি ভাব বা বমি হওয়া।
ইউরিন ইনফেকশনের কিছু ঘরোয়া প্রতিকার আছে যে গুলো মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক ইউরিন ইনফেকশনের প্রতিকারে কিছু কার্যকরী ঘরোয়া টোটকা।
১) ইউরিন ইনফেকশন হলে কিংবা ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা থাকলে প্রতিদিন অন্তত আড়াই লিটার পানি খাওয়া উচিত। বিশেষ করে প্রসাবে হলুদ ভাব দেখা গেলেই দেরি না করে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া শুরু করা উচিত। আর যাদের প্রায়ই এই সমস্যা হয় তারা সব সময়েই একটু বেশি পানি খাওয়ার অভ্যাস করবেন। সাধারণত প্রতি ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত। প্রস্রাব হতে এর চাইতে বেশি দেরি হলে বার বার পানি খেতে থাকুন।
২) ইউরিন ইনফেকশন হলে অনেক চিকিৎসকই রোগীদেরকে দৈনিক পাঁচ হাজার মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভিটামিন সি মুত্রথলীকে ভাল রাখে এবং প্রস্রাবের সময় জ্বালা ভাব কমাতে সহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে। তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
৩) আনারসে আছে ব্রোমেলাইন নামক একটি উপকারী এঞ্জাইম। গবেষণায় দেখা গছে, ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীদেরকে সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রতিদিন এক কাপ আনারসের রস খান।
৪) ইউরিন ইনফেকশন অন্তত দু’দিনের বেশি সময় থাকে। আর এই সময়ের মধ্যে সংক্রমণ কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব এর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। বেকিং সোড়া দ্রুত ইউরিন ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আধা চামচ বেকিং পাউডার এক গ্লাস জলেতে ভাল করে মিশিয়ে দিনে একবার করে খেলেই প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা ভাব কমে যাবে।
সূত্র: জিনিউজ
একে//