ঢাকা, শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ১৯ ১৪৩১

সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় মিয়ানমার সরকার

প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শান্তি সম্মেলন শুরু করেছে মিয়ানমার সরকার। গতকাল বুধবার মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাং এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

জানা যায়, এর আগে ২০১৬ সালের আগস্টে ও ২০১৭ সালের মে মাসে দুবার সশস্ত্র বিদ্রোহী দলগুলোর সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসা হলেও সেসব ফলপ্রসূ হয়নি। তাই তৃতীয়বারের মতো আলোচনায় বসতেই এ সম্মেলনের আয়োজন। ‘একুশ শতকের পাংলং’ শীর্ষক এ সম্মেলন চলবে পাঁচ দিনব্যাপী।

এর আগে ২০১৫ সালে স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই চালাতে থাকা বিদ্রোহী দলগুলোর উদ্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনা হয়। সে সময় প্রস্তাবে সম্মত হয়ে বেশ কিছু সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী তাতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু অনেকেই, বিশেষ করে দেশটির উত্তর অঞ্চলে তৎপরতা চালানো প্রধানতম বিদ্রোহী দলগুলো সরকারের সে প্রস্তাবকে অস্পষ্ট উল্লেখ করে তাতে স্বাক্ষর না করার ব্যাপারে অবস্থান নেয়।

১৯৪৭ সালে স্বাক্ষরিত ‘পাংলন’ চুক্তি অনুসারে সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীগুলোর স্বায়ত্তশাসন মেনে নেওয়া হয়। স্বাধীনতার পরে তারা একটি যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠন করে মিয়ানমারের সঙ্গে থাকবে নাকি থাকবে না, সে ব্যাপারেও তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু তার কিছুকাল পরেই জেনারেল অং সান নিহত হলে পাংলং চুক্তি অকার্যকর হয়ে যায়। অংসান সু চির বাবার মৃত্যুর মধ্য দিয়েই মাটিচাপা পড়ে যায় পাংলং চুক্তি।

এরপর থেকে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা সশস্ত্র বিদ্রোহ পরিচালনা করে আসছে। স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে তারা এ হামলা চালায়। এই সম্মেলনের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের লড়াই আর সহিংসতা দূর করে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করার দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনপিএল) নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর শান্তি স্থাপনের প্রতিশ্রুতিই ছিল সবার আগে। তবে দেশটির সেনা হস্তক্ষেপে সুচির সেই পদক্ষেপ ভেস্তে যেতে বসেছে।

এমজে/