ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শনিবার পাবনায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ১৩ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১০:২২ এএম, ১৩ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার

আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনায় যাচ্ছেন। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের ফার্স্ট কংক্রিট পোরিং ডেট (এফসিডি) কাজের উদ্বোধন করবেন। একই সঙ্গে তিনি পাবনাবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাবনা-মাঝগ্রাম রেলপথের উদ্বোধন করবেন। এছাড়া ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১৮ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

এদিন জেলার পুলিশ লাইন্স মাঠে জনসভার প্যান্ডেল থেকে প্রধানমন্ত্রী ৩১টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। তা হলো- ঈশ্বরদী থেকে মাঝগ্রাম হয়ে পাবনা পর্যন্ত রেলওয়ে সেকশনে ট্রেন চলাচল; পাবনা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস; ঈশ্বরদী থানা ভবন; জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স; সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ, আটঘরিয়া উপজেলার মাঝপাড়া, ঈশ্বরদী উপজেলার পাক্শী, সলিমপুর, লক্ষ্মীকুণ্ডা, সাঁড়া, পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর এবং চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস; ফরিদপুর উপজেলায় বড়াল নদীর উপর নারায়ণপুর সেতু; ভাঙ্গুড়া উপজেলায় গোমানী নদীর উপর নৌবাড়িয়া সেতু; ঈশ্বরদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স; চাটমোহর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স; পাবনা সিটি কলেজের একাডেমিক ভবন; আটঘরিয়ার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন; খিদিরপুর ডিগ্রি কলেজ, একাডেমিক ভবন; চাটমোহর মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন; সুজানগরের বোনকোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন; সুজানগর মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন; সাঁথিয়ার শহীদ নুরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন; ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন; সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রশাসনিক ভবন; আটঘরিয়ার ডেঙ্গারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন; আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স; চাটমোহর উপজেলায় গোমানী নদীর উপর নিমাইচড়া সেতু; চাটমোহর উপজেলায় কাটাখাল সেতু; চাটমোহর উপজেলায় আত্রাই নদীর উপর আত্রাই সেতু; সুজানগর উপজেলায় ধোলাইখাল সেতু এবং জেলার চাটমোহর, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষণা।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন : ১৮টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তা হলো- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সিগন্যালিংসহ রেললাইন নির্মাণ; জেলা সদরে ১০০০ আসনবিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল; সুজানগর উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র; আটঘরিয়া উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন; চাটমোহর উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিস ভবন; বেড়া উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিস ভবন; সুজানগর উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিস ভবন; জেলা রেজিস্ট্রার অফিস ভবন; পুলিশ লাইনস মহিলা পুলিশ ব্যারাক ভবন; সুজানগর উপজেলায় সাগরকান্দি ইউনিয়ন ও আটঘরিয়া উপজেলায় হাদল ইউনিয়ন ভূমি অফিস; পাবনা মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল; জেলা শিল্পকলা একাডেমি; সাঁথিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ; পাবনা আদর্শ মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন; সাঁথিয়া উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন; বেড়া পৌরসভায় উচ্চ জলাধার ও পানি শোধনাগার নির্মাণ; সাঁথিয়া পৌরসভায় উচ্চ জলাধার নির্মাণ; ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ।

উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পুলিশ লাইন্স মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই জনসভা আয়োজনের তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগ।

আয়োজনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পাবনার মানুষের সারাজীবনের স্বপ্নপূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, রেললাইন সব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাবনায় দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। পারমাণবিক ক্লাবের সদস্য পাবনার গল্প সবাই সারাজীবন করবে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর তৃতীয়বার পাবনায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। পাবনাবাসীর সারাজীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করায় এবারের পাবনার জনসভার কোনো কুল-কিনারা থাকবে না। পুরো পাবনা জেলা জাগরিত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে নেত্রীকে বরণের মধ্য দিয়ে এ জেলার মানুষ তার প্রমাণ দেবে। জনসভা সফল করতে পাবনার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

 টিআর/