ওবামা এসেছিলেন, ট্রাম্প কি আসবেন?
প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার
ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলেও দেশটি জানিয়ে দিয়েছে, ভারতে তেল সরবরাহ করবে দেশটি। ভারতও দেশটি থেকে জ্বালানি তেল আমদানি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এতে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। আর তা মেটাতেই ট্রাম্পকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখন দেখার বিষয় ট্রাম্প মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে ভারতে আসেন কি না?
সব ঠিকঠাক চললে আগামী সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে হাঁটতে দেখা যাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে এ অনুরোধ পাঠানো হয়েছে মার্কিন মুলুকে। শোনা যাচ্ছে, ট্রাম্পের দপ্তর তা বিবেচনা করেও দেখছে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আগামী সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোদি। শুধু সম্পর্কের খাতিরে নয়, এর পিছনে একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও আছে। জ্বালানি নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন মুলুকের সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছে ভারতের।
মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক অবশ্য বরাবরই ভাল। ট্রাম্প মার্কিন মসনদে বসার পর যে রাষ্ট্রনেতারা প্রথম তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তাঁদের মধ্যে মোদি অন্যতম। পরে ট্রাম্প নিজে মোদিকে ফোন করেন। এরপর মার্কিন সফরে যান মোদি। সেখানেও দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের উষ্ণতা প্রকাশ পায়। ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ভারত সফরে এলে মোদিও আতিথেয়তায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, মার্কিন মুলুকের কতটা বন্ধু তিনি। বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আর আগের মতো নেই। এই প্রেক্ষিতে মার্কিন মুলুককে ভারত-বন্ধু হিসেবে তুলে ধরতেই আগ্রহী মোদি সরকার। এখন ট্রাম্প এই প্রস্তাবে রাজি হন কি না, সেটাই দেখার। এর আগে ট্রাম্পের পূর্বসূরী বারাক ওবামাও সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে ভারতে এসেছিলেন।
সূত্র: এনডিটিভি
এমজে/