রিজভীর প্রশ্ন
কোটা বাতিলের কথা কেন বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০১:৪২ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০১:৪২ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার
ছবি: প্রতীকী
মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শেখ হাসিনার দরদ ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। হাইকোর্টের রায় থাকায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা সম্ভব নয় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে রিজভী এ কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী কেন কোটা বাতিলের কথা বলেছিলেন তা জানতে চেয়েছেন তিনি। বিএনপি নেতা বলেন, তখনতো হাইকোর্টের রায় ছিল। তখন মুক্তিযোদ্ধাদের কথা মনে হয়নি?
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না ঘোষণা দেওয়ার তিন মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে জানান, হাইকোর্টের রায় থাকায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা সম্ভব নয়।
রিজভী বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে যে কোনো ঘোষণা মানেই সেটি আইনের সমতুল্য এবং তা কার্যকর হতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিল চায়নি তারা কোট সংস্কার চেয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যে এটি এখন সুস্পষ্ট, তিনি ছাত্র আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতেই সেদিন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
বিএনপি নেতার অভিযোগ, ঈদের পর আবারও ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী বেছে নেন দমনপীড়নের নিষ্ঠুর পথ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতুড়ি, রাম দা আর বাঁশের লাঠিসহ ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আগামী নির্বাচনগুলোও যাতে খুলনা ও গাজীপুরের মতো কারচুপির নির্বাচন হয় তা নিশ্চিত করতে এবং ভোট সন্ত্রাসের নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতেই ইসি তার আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, যে দেশে আইনের শাসন নেই সে দেশে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীগুলোকে ভোটারদের সঙ্গে নয় বরং সরকারের সঙ্গেই তাল মিলিয়ে চলতে হয়। আগামী নির্বাচনগুলো কোন রং ও রুপ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে তা এখনই অনুমান করা যায়। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
একে//