ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি গৃহবধূর লাশ ভর্তি লাগেজ উদ্ধার  

শেখ আরিফুজ্জামান, মালয়েশিয়া থেকে  

প্রকাশিত : ১০:৪৭ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের জালান ইপো এলাকার ড্রেনের পাশের জঙ্গল থেকে বাংলাদেশি এক গৃহবধূর লাশ ভর্তি লাগেজ উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়ান পুলিশ।  

সম্প্রতি নিহত ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।      

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত গৃহবধূর স্বামী শাহজাদা সাজুকে খুঁজছে পুলিশ। 

নিহত গৃহবধূ পটুয়াখালীর সদর পুরাতন আদালতপাড়ার মো. আনিস হাওলাদারের (ফিটার) কনিষ্ঠ কন্যা।  নিহতের (২৯) পাসপোর্ট নং : বিএ ০৭৩২৫৭০।  

জানা গেছে, নিহত গৃহবধূর মরদেহ কয়েক টুকরো করে লাগেজের ভেতর ভরে গত ৫ জুলাই স্বামী শাহজাদা সাজু জঙ্গলে ফেলে দেয়।

পুলিশ মনে করছে, সাজেদার স্বামী শাহজাদা সাজু এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় পলাতক রয়েছেন। 

এদিকে সাজেদার খুনের ঘটনায় শোকের মাতম চলছে তার পরিবারে। 

নিহতের বোন উপমা ফারহানা টেলিফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএম পাস করেন তার বোন সাজেদা।

পরে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ সুবিধাখালীর ঘটকের আন্দুয়া এলাকার সোহরাব ফকিরের ছেলে শাহজাদা সাজুর সঙ্গে বিয়ে হয় সাজেদার।  

তাদের সংসারে মুগ্ধ নামের সাত বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। ঘাতক শাহজাদা তার স্ত্রীকে উচ্চতর পড়াশোনা করার প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মালেয়েশিয়ায় নিয়ে যান। 

ফারহানা জানান, “প্রতিনিয়ত তার বোনকে নির্যাতন করা হতো। এনকি দুই তিন দিন পরপর খাবার দেওয়া হতো। এসব ঘটনা সাজেদা তার বাবা-মাকে মাঝে মাঝে জানাতো। একপর্যায়ে সাজেদার ওপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেন শাহজাদা। বাংলাদেশ থেকে নির্যাতনের জন্য শাহজাদাকে উস্কে দিতেন তার মা, মামাসহ অন্যান্যরা”।

ফারহানা জানান, শাহজাদার নির্যাতন সইতে না পেরে এক আত্মীয়ের বাসায় পালিয়ে যান সাজেদা।  সেখানে ২-৩ দিন থাকার পর শাহজাদা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে পুনরায় তাকে নিজ ঘরে ফিরিয়ে আনেন। 

তিনি আরো জানান, এরপরই নৃশংস খুনের শিকার হন আমরা বোন সাজেদা। ঘাতক শাহজাদা নৃশংসভাবে খুনের পর কয়েক টুকরো করে সাজেদার মরদেহ একটা লাগেজে ভরে জঙ্গলে ফেলে দেন। সেখান থেকে মালয়েশিয়ান পুলিশ লাগেজ ভর্তি মরদেহ উদ্ধার করে।  

এমএইচ/এসি