ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ইয়েমেনের কারাগারে নির্যাতনের তদন্ত চায় অ্যামনেস্টি

প্রকাশিত : ১১:৩৯ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার

ইয়েমেনের কারাগারে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি বলছে, ইয়েমেনে চলমান সহিংসতার জেরে দেশটির বিভিন্ন জেলখানা থেকে মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন, অত্যাচারে নিহত হয়েছেন এমনকি অনেকেই ‘গোপন বন্দী নেটওয়ার্ক’ এর শিকারে পরিণত হয়েছেন। আর এসব গুরুতর অপরাধের বিচারে তদন্ত দাবি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

সংস্থাটি গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানায় যে, ইয়েমেনে পরিকল্পিতভাবে বন্দীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে, অনেকেই গায়েব করে দেওয়া হয়েছে; এমনকি অনেককেই জেলের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও আরও এমনসব কাজ করা হয়েছে যা যুদ্ধাপরাধের সামিল।আর এসব অপরাধের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সংস্থাটির কাছে আছে বলেও বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনেক বন্দীই জেলখানায় মৃত্যু বরণ করতে ভয় পাচ্ছিলেন। প্রায় ৭০ জন সাবেক বন্দীর সাক্ষাৎকার থেকে এই প্রতিবেদন তৈরি করে সংস্থাটি। ইয়েমেনের জেলগুলোর এসব কর্মকাণ্ডকে ‘নিষ্ঠুর এবং বেআইনি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

অ্যামনেস্টির দাবি, বন্দীশালায় এসব নির্যাতনের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেনে তাদের সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী দাবি। সংস্থাটির আমিরাত সরকারকে এসব নির্যাতন বন্ধ করে বন্দীদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

বন্দীদশা থেকে মুক্তি পাওয়া এবং নিখোঁজ ইয়েমেনীদের স্বজনদের সাক্ষ্য থেকে অ্যামনেস্টি বলছে, ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত মোট ৫১ জন নাগরিকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে এখনও নিখোঁজ আছে ১৯ জন ব্যক্তি।

সংস্থাটির পরিচালক টিরানা হাসন কাতার ভিত্তিক আল জাজিরাকে বলেন, “আটককৃতদের পরিবারের সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, সাবেক ও বর্তমান বন্দীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি আমরা। অ্যাডেনে সরাসরি তদন্ত করেছি আমরা। আর এই সবকিছু এমন একটি বিষয়ে অশনী সংকেত দিচ্ছে যে, বন্দী নির্যাতন দেশটির একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হচ্ছে”।

টিরানা আরও বলেন, “সবথেকে ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, ইয়েমেনে গোপন বন্দী নেটওয়ার্ক চালাচ্ছে আরব আমিরাত”।

গত বছর একই তথ্য দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বার্তা সংস্থা এপি। আমিরাত ও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এই গোপন বন্দী নেটওয়ার্কের ওপর ইয়েমেনী সরকারেরও নিয়ন্ত্রণ নেই বলে বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।

সূত্র: আল জাজিরা।

//এস এইচ এস// এসএইচ/