আগামী নির্বাচনে জনসমর্থনে এগিয়ে থাকবে আ. লীগ: বিএমআই রিসার্চ
প্রকাশিত : ১১:৫৯ এএম, ১৪ জুলাই ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০১:৩৮ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৮ শনিবার
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জনসমর্থনে এগিয়ে থাকবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিএমআই রিসার্চ। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক ঝুঁকি নিরূপনে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচনে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাম্প্রতিক কর্মসূচিগুলো আগামী নির্বাচনে খুব একটা ধোপে টিকবে না। জনগণ উন্নয়নকেই গুরুত্ব দেবে।
বিএমআই রিসার্চ বলছে, রাজনৈতিক বাস্তবতার পাশাপাশি ভোটের বছরের বাজেটে গ্রামের কৃষিজীবী মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যেসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তার ফলও আওয়ামী লীগ নির্বাচনে পাবে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ভর্তুকি, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের পরিমাণ আগের বছরের তুলতায় যথাক্রমে ২৭.৯, ২৪.৮ ও ৮.৯ শতাংশ বাড়িয়েছে। এটা ভোটারদের সমর্থন আদায়ে ভূমিকা রাখবে বলে গবেষণা সংস্থাটি মনে করছে।
শুক্রবার প্রকাশিত বিএমআই রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ফেব্রুয়ারিতে দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাগারে যাওয়ার পর দলটির শক্তি অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
ফলে ‘দুর্বল নেতৃত্বের’ বিএনপি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সামনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারবে না বলেই এ গবেষণা সংস্থার বিশ্লেষকদের ধারণা।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে এবং দেশে বহু নেতা গ্রেফতার থাকায় বিএনপির নেতৃত্বে ‘শক্তিশালী’ নেতার সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের অবস্থা এর উল্টো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সাল থেকে দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন, কয়েক মেয়াদে তিনি সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
আর গত মে ও জুন মাসে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বড় ব্যবধানে জয়ের মধ্যেও বিএনপির সমর্থন কমার আভাস দেখছে বিএমআই রিসার্চ।
তাদের স্বল্পমেয়াদী রাজনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের স্কোর এবার একশর ভেতরে ৫৮.১। তবে নির্বাচন ঘিরে আগের মত সহিংসতার আশঙ্কা বিএমআই রিসার্চ উড়িয়ে দিচ্ছে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করা বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার ইংগিত দিয়ে রেখেছে। অন্যদিকে তাদের নির্দলীয় সরকারের দাবি বরাবরই নাকচ করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
ফলে ২০১৪ সালের মত এবারও বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সম্ভাবনা দেখছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। নির্বাচনের আগে-পরে তাদের সহিংস আন্দোলনের সম্ভবনাও তাঁরা নাকচ করছে না।