ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পরিসংখ্যানে এগিয়ে ফ্রান্স না ক্রোয়েশিয়া

প্রকাশিত : ০২:১৩ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৮ শনিবার

আর একদিন পরেই রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল। এই ফাইনাল নিয়ে ফ্রান্স এবং ক্রোয়েশিয়ার সমর্থকদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক কৌতুহল। কে জিতবে এই ম্যাচ। অর্থাৎ শেষ হাসি কে হাসবে এটা দেখার জন্য আর কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে দর্শকদের। অনেক ফুটবলপ্রেমীই জানেন না পরিসংখ্যানে ফাইনালে কোন দল এগিয়ে। 

এর আগে পাঁচ ম্যাচে একবারও ফ্রান্সকে হারাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপের ফাইনালেই প্রথমবারের মতো ফরাসিদের হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চায় ক্রোয়েশিয়া। অন্যদিকে ক্রোয়াটদের বিপক্ষে সাফল্য ধরে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলার স্বপ্ন ফ্রান্সের। রোববার মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।

জানা যায়, তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছে ফ্রান্স। ১৯৯৮ সালে ঘরের মাঠে নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে ইতালির কাছে ফাইনালে হারে ফরাসিরা।

অন্যদিকে প্রথমবারের মতো বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে পা রেখেছে ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯১ সালে যুগোস্লোভিয়া ভেঙে যাওয়ার পর ছয়টি বিশ্বকাপের পাঁচটিতেই খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ক্রোয়াটরা। ১৯৯৮ সালে বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের অভিষেকেই শেষ চারে পা রেখেছিল তারা। ওই আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে সেমি-ফাইনালে হারের পর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় জয় পায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এটাই ছিল চলতি বিশ্বকাপের আগে ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায় দেশটির সেরা ফল।

চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের তিনটি নক আউট ম্যাচেই অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে। শেষ ষোলোয় ডেনমার্ক ও কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে জয় আসে পেনাল্টি শুট আউটে। আর সেমি-ফাইনালে মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে মারিও মানজুকিচের অতিরিক্ত সময়ের গোলে ইংলিশদের পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো বিশ্ব মঞ্চের ফাইনালে জায়গা করে নেয় জ্লাতকো দালিচের দল।

দুই জয় ও এক ড্রয়ে ‘সি’ গ্রুপের সেরা হয়ে নক আউট পর্বে পা রাখে ফ্রান্স। শেষ ষোলোয় লাতিন আর্জেন্টিনাকে হারানোর পর কোয়ার্টার ও সেমি-ফাইনালে পেরোয় উরুগুয়ে ও বেলজিয়াম বাঁধা। প্রতিটি ম্যাচই শেষ হয়েছে ৯০ মিনিটে।

সমান দুটি করে গোল করে চলতি বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার সর্বোচ্চ গোলদাতা মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ, ফরোয়ার্ড মারিও মানজুকিচ ও ইভান পেরিসিচ। প্রতি ম্যাচে গড়ে দুটি করে গোল করেছে ক্রোয়েশিয়া। এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১২ বার বল জড়িয়েছে তারা। বিপরীতে হজম করেছে পাঁচটি গোল।

ফাইনালে মাঠে নামলে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (১১টি) খেলার রেকর্ড ভাঙ্গবেন ৩২ বছর বয়সী মদ্রিচ। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পরিশ্রমী খেলোয়াড় ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক। ফিফার পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৬৩ কিলোমিটার দৌড়েছেন এই মিডফিল্ডার।

চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি তিনটি করে গোল করেছেন ফরোয়ার্ড অঁতোয়ান গ্রিজমান ও কিলিয়ান এমবাপে। ছয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১০ গোল দেওয়ার পাশপাশি ফ্রান্স হজম করেছে চারটি গোল।
পরিসংখ্যান যা হোক, সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে ফাইনালে যেকোনো দল এগিয়ে যেতে পারে। এবার শুরু থেকেই ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্স ভালো খেলে এসেছে। তাই শেষ হাসি কে হাসে এটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ফুটবলপ্রেমীদের।

এসএইচ/