ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের প্রথম দাবি তুলেছিল ছাত্রশিবির: শাজাহান

প্রকাশিত : ০৩:১০ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৮ শনিবার

কোটা সংস্কার আন্দোলনাকারীদের সমালোচনা করে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ২০০৪ সালে ইসলামী ছাত্রশিবির সর্বপ্রথম চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবি প্রকাশ্যে এনছিল। সেদিন তারা সফল হয়নি। এরপর তাঁরা লাগাতার অপপ্রচারের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে কোটা সংস্কারের নামে আন্দোলনে প্ররোচিত করে। তারা সুকৌশলে এই আন্দোলনকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের আন্দোলনে রূপ দেয়।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংগঠণের সভাপতি এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

শাজাহান খান এসময় বলেন, এই আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য শিবির ছাত্র হত্যার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে ছাত্রছাত্রীদের উত্তেজিত করেছে। উপাচার্যের বাসভবনে গভীর রাতে হামলা করে লুটপাট চালিয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার সরঞ্জামে অগ্নিসংযোগ করেছে।

মন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে যারা মাঠে নেমেছে তারা আসলে কারা তা বুঝা কঠিন নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা স্লোগান দেয়, ফেসবুকে যারা নানাবিরূপ মন্তব্য করে তাদের চেহারা সবার কাছে পরিচিত।

শাজাহান খান বলেন, জিয়াউর রহমান যেদিন ক্ষমতা নিয়েছিল সেদিন থেকেই হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা হত্যাসহ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছেন। এখনো তার উত্তরসূরির সেই অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, জিয়া- এরশাদ- খালেদার সময় প্রশাসনে অনেক মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। তারা এখন চক্রান্ত চালাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে। কিন্তু তা সহ্য করা হবে না।

মন্ত্রী এ সময় জামায়াত শিবির যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ না দেওয়া, সরকারি চাকরিতে জামায়াত শিবিরপন্থী যারা প্রতিষ্ঠিত তাদের বরখাস্ত করা, যুদ্ধপরাধীদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের সম্পর্কে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী আইনে বিচারের ব্যবস্থা করাসহ ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।

মন্ত্রী এ সময় ১৯ জুলাই থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আআ / এআর