ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

বোমা হামলার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতাকে দুষলেন হতাহতরা

প্রকাশিত : ০৬:৩৯ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৮ শনিবার

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের মাস্টাং জেলায় সংঘটিত বোমা হামলার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে দুষলেন আহত ব্যক্তি ও তাদের স্বজনেরা। হতাহতদের দাবি, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আয়োজিত সম্মেলনে নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।

বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি’র (বিএপি) নির্বাচনী র‍্যালিতে গত শুক্রবার এই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ১২৯ জন ব্যক্তি নিহত হয় বলে জানায় বেলুচিস্তান রাজ্য সরকার। বেলুচিস্তানের রাজধানীর কোয়েটা থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে মাস্টাং জেলায় এই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

বোমা হামলায় বিএপি নেতা এবং আসন্ন ২৫ জুলাই এর সাধারণ নির্বাচনের প্রার্থী নওয়াবজাদা সিরাজ রাইসানী-ও নিহত হন। কোয়েটার সদর হাসপাতালের এক মুখপাত্র শামিম আখতার আল-জাজিরাকে জানান যে, এখন পর্যন্ত তাদের হাসপাতাল থেকেই শুধু ৭৩টি লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা এখনও ১১০ জন ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিচ্ছি। এদের বেশিরভাগই গুরুতরভাবে আহত”।

হামলার দায় প্রশাসনের

এই বোমা হামলার হতাহতের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে দুষছেন আহত ব্যক্তি এবং তাদের স্বজনেরা। এছাড়াও বোমা হামলার সময় র‍্যালিতে ছিলেন এমন প্রত্যক্ষদর্শীদেরও দাবি একই রকম।

মঞ্চে সিরাজ রাইসানির পাশে থাকা বঙ্গুল খান নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী আল জাজিরাকে বলেন, “আমি মঞ্চে দাঁড়ানো ছিলাম। সিরাজ মঞ্চে উঠে যখন বক্তব্য দেওয়া শুরু করলো তখনই বোমার বিস্ফোরণ হলো। এরপর আমার আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে এই হাসপাতালের বিছানায় পাই”।

প্রায় ভাগ্যের জোরে বেঁচে যাওয়া বঙ্গুল খান বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিলো না। সিরাজের নিজস্ব ৬০ থেকে ৭০ জন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ছিল। তাদের একজন সেখানে (পাশের একটি বিছানার দিকে ইঙ্গিত করে) মরে পরে আছে”।

এই হামলায় নিজ পরিবারের ছয় সদস্যকে হারিয়েছেন বঙ্গুল খান।

ইসারুল্লাহ নামে নিহত এক ব্যক্তির ভাগ্নে জামিল আহমেদ বলেন, “আমি র‍্যালির একদম শেষ দিকে ছিলাম। বিস্ফোরণ হয় র‍্যালির মাঝখানে। সেখানে নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থাই ছিল না। কোন তল্লাশি ছিল না। মানুষ এসেছে, গিয়েছে; নিজের ইচ্ছার মতো। দুই একজন নিরাপত্তা রক্ষী যা ছিলো তারা কাউকে তল্লাশী করেনি”।

হামলার দায় স্বীকার

এদিকে এই বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং পাকিস্তানি তালিবান। দুইটি সংগঠনই এই হামলার দায় স্বীকার করে গণমাধ্যমের কাছে বিবৃতি পাঠায়।    

সূত্রঃ আল জাজিরা

//এস এইচ এস//