ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

মাদার তেরেসাকে নিয়ে তসলিমার ক্ষোভ 

প্রকাশিত : ০৬:৫৮ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৮ শনিবার

বাংলাদেশের বিতর্কীত লেখিকা তসলিমা নাসরিন মাদার তেরেসার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ঝাড়খন্ডের একটি শাখার বিরুদ্ধে শিশু বিক্রির অভিযোগ এবং তা নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ক্ষুব্দ হন।  

সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে তসলিমা লিখেছেন, নোবেল জয়ী মাদার তেরেসা নানাবিধ অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি একজন জালিয়াত এবং দুষ্ট। বহু অমানবিক এবং বর্বরোচিত কাজ করেছেন মিশনারিজ অফ চ্যারিটির প্রতিষ্ঠাতা। শুধুমাত্র জনপ্রিয়তা রয়েছে বলে এই ধরনের অপরাধীর পাশে দাঁড়ানো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন তসলিমা। বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত এই লেখিকা বর্তমানে ভারতে আশ্রয়ে রয়েছেন।

রাঁচির নির্মল হৃদয়ের দুই সিস্টারকে গত ৫ই জুলাই গ্রেপ্তার করা হয় শিশু বিক্রির অভিযোগে। সেই ঘটনার তদন্ত চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য লিখেছেন, বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার মিশনারিজ অব চ্যারিটির বদনাম করার চেষ্টা করছে। সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও মনে করেন, মিশনারিজ অব চ্যারিটির নামে যে প্রচার চলছে তা সঙ্ঘ পরিবারের কাজ। এই বিতর্কের মাঝে তসলিমা যেভাবে মিশনারিজের সমালোচনা করেছেন তাতে অনেকেই ক্ষুব্ধ।

তসলিমা দাবি করেছেন, কলকাতার এই সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই শিশুর পাচারের সঙ্গে জড়িত। তার মতে, মাদার তেরেসা হোম থেকে শিশু পাচার হয়, এটা নতুন কিছু নয়। একই সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেছেন যে মাদার তেরেসা অনেক রকমের অনৈতিক, অমানবিক, খারাপ, জালিয়াতির এবং বর্বরোচিত কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মাদার তেরেসা কলকাতায় এসে দুঃস্থ ও আর্ত মানুষের সেবায় নিযোজিত করেছিলেন। পরে গড়ে তুলেছিলেন মিশনারিজ অব চ্যারিটি। সারা বিশ্বে এই সংস্থার কয়েক’শ শাখা রয়েছে। ১৯৭৯ সালে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন মাদার তেরেসা। তার পরের বছরে তাকে ভারতরত্ন উপাধি দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

এসি