নাদালকে হারিয়ে ফাইনালে জকোভিচ
প্রকাশিত : ১২:২৫ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৮ রবিবার
উইম্বলডনে আরও একটা ম্যারাথন লড়াই। পরপর দুটো সেমিফাইনাল ম্যাচে হল দীর্ঘতম খেলার নজির। শুক্রবার প্রথম সেমিফাইনালে কেভিন অ্যান্ডারসন- জন এসনারের মধ্যে পাঁচ সেটের ম্যাচ গড়ায় ৬ ঘণ্টা ৩৬ মিনিটে। যা উইম্বলডনে ইতিহাসে দীর্ঘতম সেমিফাইনাল ম্যাচ। আর গতকাল শনিবার নাদাল-জকোভিচ ম্যাচটা হল উইম্বলডনের ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেমিফাইনাল ম্যাচ। যে কারণে অ্যান্ডারসন ৭-৬,৬-৭, ৬-৭, ৬-৪, ২৬-২৪ জেতার পর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নাদাল বনাম জকোভিচের হাইপ্রোফাইল ম্যাচ শুরু হতে অনেকটা দেরি হয়।
বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় নাদালের বিরুদ্ধে জকোভিচ এগিয়ে ছিলেন ৬-৪, ৩-৬, ৭-৬। গতকাল শনিবার নাদাল-জকোভিচের বাকি ম্যাচটা দিনের শুরুতেই সেন্টার কোর্টে হয়। চতুর্থ সেটে নাদাল ৬-৩ জিতে নিয়ে ম্যাচ ২-২ করে দেন। এরপর নির্ধারক পঞ্চম সেট গড়ায় ১৮টা গেম। শেষ পর্যন্ত জকোভিচ জেতেন ১০-৮। দু দিন ধরে চলা এই সেমিফাইনাল ম্যাচ গড়াল ৫ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। নাদালের ছোট্ট ভুলটা কাজে লাগিয়ে ম্যারাথন ম্যাচে শেষ হাসিটা হাসলেন জোকারই।
২০১৬ -র পর দীর্ঘ দু বছর পর চোট থেকে কামব্যাক করে গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে উঠলেন জকোভিচ। তার চতুর্থ উইম্বলডন তথা ১৩টা গ্র্যান্ডস্লাম জিততে হলে জোকারকে এবার হারাতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার কেভিন অ্যান্ডারসনকে। যে অ্যান্ডারসন দীর্ঘতম সেমিফাইনাল জয়ের পাশাপাশি ফেডেরারকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছিলেন। পরপর দুটো রাউন্ডে প্রায় ১২ ঘণ্টার কাছাকাছি ম্যাচ খেলে আজ রোববার ফাইনালের মুখোমুখি জকোভিচ-অ্যান্ডারসন। ২০১১, ২০১৪, ২০১৫ উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন জকোভিচ।
সেই জন এসনার। সেই উইম্বলডন। আরও একটা দীর্ঘতম ম্যাচ। তবে এবার সেমিফাইনালে। ২০১০ উইম্বলডনে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ১১ ঘণ্টার ম্যাচে আমেরিকার জন এসনার জিতেছিলেন ৬-৪, ৩-৬, ৬-৭, ৭-৬, ৭০-৬৮ ফরাসি নিকোলাস মাহুতের বিরুদ্ধে। সেই রকমই একটা দীর্ঘ ম্যাচ খেলে এবার হেরে গেলেন এসনার। শুক্রবার উইম্বলডনে পুরুষদের সিঙ্গলসে দক্ষিণ আফ্রিকার কেভিন অ্যান্ডারসন আর জন এসনার-এর মধ্যে ম্যাচ গড়াল ৬ ঘণ্টা ৩৬ মিনিটের। যা উইম্বলডনের ইতিহাসে দীর্ঘতম সেমিফাইনাল ম্যাচের নজির। পাশাপাশি উইম্বলডনের ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘ ম্যাচ। তার মানে উইম্বলডনের দুটি দীর্ঘ ম্যাচেই জড়িয়ে থাকল এসনারের নাম।
শেষ পর্যন্ত উইম্বলডনের দীর্ঘতম সেমিফাইনালে শেষ হাসিটা হাসলেন শেষ আটে রজার ফেডেরারকে হারানো অ্যান্ডারসন। ছোটবেলায় এবি ডেভিলিয়ার্সের কাছে টেনিসে হারা অ্যান্ডারসন জিতলেন ৭-৬, ৬-৭, ৬-৭, ৬-৪, ২৬-২৪। আর আট বছর আগে যিনি দীর্ঘতম ম্যাচ খেলে জিতেছিলেন, সেই ৬ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার এসনার হেরে গেলেন। সেমিফাইনালে শেষ সেটটা চলল ২ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট। একটা সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচটা শুক্রবার শেষ হবে না। কিন্তু এসনারের ছোট্ট ভুলটা কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করেন অ্যান্ডারসন। উইম্বলডনের নিয়ম হল, শেষ সেটে টাইব্রেকার হবে না। যতক্ষণ কেউ কারও সার্ভ না ব্রেক করবে, ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত চলবে ম্যাচ। আর তাতেই এই হাল।
কোয়ার্টারে রজার ফেডেরারে বিরুদ্ধে ম্যারাথন ম্যাচে জেতার পর সেমিতে দীর্ঘতম ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠা অ্যান্ডারসনের ফিটনেস দেখে সবাই অবাক। কারণ ফেডেরারের বিরুদ্ধে অ্যান্ডারসনের ৫ সেটের দীর্ঘ লড়াইটা গড়িয়েছিল ৪ ঘণ্টা ১৪ মিনিটে। ফেডেরারের বিরুদ্ধে শেষ সেটে অ্যান্ডারসন জেতেন ১৩-১১। সেমিতেও একেবারে ক্লোজ ম্যাচে জিতে ৩৩ বছর পর উইম্বলডনের ফাইনালে খেলবেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও খেলোয়াড়।
সূত্র: এনডিটিভি
একে//