পরিসংখ্যানে রাশিয়া বিশ্বকাপ
প্রকাশিত : ১১:৩৮ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৮ রবিবার
টানা এক মাসের উত্তেজনাকর সময় শেষে অবশেষ পর্দা নামলো রাশিয়া বিশ্বকাপ-২০১৮ এর। ৩২ দলের খেলা ৬৪ ম্যাচ শেষে সময় হয়েছে পরিসংখ্যানের হিসেব কষার। পুরো বিশ্বকাপের নানান হিসেব, সংখ্যাতত্ত্ব আর পরিসংখ্যান নিয়েই এবারের আয়োজন।
সর্বোচ্চ গোল
এবারের আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন। এবারের টুর্নামেন্ট মোট ৬টি গোল করেন তিনি। অবশ্য ফাইনালের দেখা পায়নি ফুটবলের জনক ইংল্যান্ড। হ্যারি কেনের পরে চারটি করে গোল নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে যৌথভাবে আছেন বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু আর রাশিয়ার ডেনিস চেরিশেভ।
মোট গোল
এবারের আসরে মোট গোল হয়েছে ১৬৯টি। গত ২০১৪ বিশ্বকাপ থেকে দুই গোল কম। টুর্নামেন্টের মোট ৬৪টি ম্যাচের প্রতিটিতে গড়ে গোল হয়েছে ২.৬টি। এক ম্যাচে সবথেকে বেশিবার গোল হয়েছে গ্রুপ পর্বে বেলজিয়াম বনাম তিউনিসিয়ার ম্যাচে। সে ম্যাচে ৫ গোল করে বেলজিয়াম। আর বাকি ২ গোল করে তিউনিসিয়া।
কার্ড
এবারের আসরে রেফারির পকেট থেকে হলুদ কার্ড বের হয়েছে ২১৯ বার। গড়ে প্রতি ম্যাচে ৩.৫ বার। আর লাল কার্ড থেকে মাঠ ছেড়েছেন বিভিন্ন দেশের চার খেলোয়াড়।
এরমধ্যে এক ম্যাচে সবথেকে বেশি বার কার্ড বের হয়েছে গ্রুপ পর্বে বেলজিয়াম বনাম পানামার ম্যাচে। সেই ম্যাচে বেলজিয়াম ৩টি আর পানামা ৫টি হলুদ কার্ড দেখে।
পাসিং
রাশিয়া বিশ্বকাপে ৩২টি দলের খেলোয়াড়েরা নিজেদের মধ্যে বল পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৬৪৭ বার। গড়ে প্রতিম্যাচে ৭৭৮.৭ বার। এরমধ্যে সবথেকে বেশিবার পাসিং হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডে স্পেন বনাম ফ্রান্সের ম্যাচে। আর এককভাবে সবথেকে বেশিবার বল পাস করেছেন স্পেনের সার্জিও রামোস। গুণে গুণে ৪৮৫ বার।
দলীয় পারফর্মেন্স
দলীয় পারফর্মেন্সে এগিয়ে আছে স্পেন। দলগতভাবে সর্বোচ্চ ১৬টি গোল দেয় স্পেন। সবথেকে বেশি ৩২১ বার আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। সর্বোচ্চ সংখ্যক তিন হাজার ৩৩৬ বার পাসিংও ইংলিশদের। আর সব থেকে বেশিবার প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দিয়েছে এবারের আসরের রানারস আপ ক্রোয়েশিয়া।
একক পারফর্মেন্স
দলগত পারফর্মেন্সের পর একক হিসেব নিকেষে সবথেকে বেশিবার আক্রমণের চেষ্টা করে ব্রাজিলের নেইমার। সবথেকে বেশি দৌড়েছেন ইংল্যান্ডের জন স্টোনস। ৬৯ কিলোমিটারেরো বেশি দৌড়েছেন এই ইংলিশ খেলোয়াড়। আর সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে সবথেকে বেশিবার প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকিয়েছেন বেলজিয়ামের কুরটোইস।
গোল্ডেন বল: লুকা মড্রিক (ক্রোয়েশিয়া)
গোল্ডেন বুট: হ্যারি কেন (ইংল্যান্ড)
ফিফা ইয়ং প্লেয়ার: কিলিয়ান এমবাপে (ফ্রান্স)
//এস এইচ এস// এসএইচ/