ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৮ ১৪৩১

বারবার রক্তাক্ত হয়েছে যে গীর্জা

প্রকাশিত : ১০:৩৮ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:০৯ এএম, ২৪ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার

এবারের বিশ্বকাপে রাশিয়ার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনার পাশেই তৈরি করা হয়েছে ফিফা ফ্যানজোন। সেন্ট পিটার্সবার্গের অন্যতম বড় ট্যুরিস্ট স্পট `চার্চ অন দা স্যাভিওর অফ স্পিল্ড ব্লাড`। আর এর পাশে ফিফা ফ্যান জোন। আর এই গির্জা ঘুরতে এসে এক ব্রাজিলীয় দর্শনার্থীর মন্তব্য হলো `ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শোক, এখানে তিন ধরণের অনুভব হচ্ছে`। কারণ এই গীর্জা বারবার রক্তাক্ত হয়েছে।

সেন্ট পিটার্সবার্গের ফিফা ফ্যান জোনের ঠিক সামনেই দেখা যায় সুরম্য এই গীর্জা। লম্বা লাইন ধরে ঢুকছেন বিভিন্ন দেশ থেকে আগত দর্শনার্থীরা। জনপ্রতি ২৫০ রুবলের প্রবেশমূল্য এই গীর্জায়। যে অর্থের বড় অংশ এর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে খরচ হয়ে আসছে। মূলত গীর্জা হলেও, এটি এখন ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে ঠায় দাঁড়িয়ে। রাশিয়ান সম্রাট দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ১৮৫৫ সালে ক্ষমতা পান। তার ঠিক ২৬ বছর পর তাকে মেরে ফেলা হয়। এই সম্রাটের সমাধিস্থলই এখানকার মূল।

মৃতদেহ যেখানে সমাহিত সেখানে পাথর দিয়ে ঢেকে দেওয়া। এই পাথর কোলিভান গ্রাইন্ডিং ফ্যাক্টরি ও একাটেরিনবার্গ ও পেটারহফ ল্যাপিডারিতে তৈরি। ইউরাল, আল্টাইরোডোনাইট, জ্যাসপার ও সেরপেন্টাইব পাথর থেকে নেয়া হয়েছে এগুলো। এই সমাধিসৌধ তার স্মরণে তৈরি করেছেন উত্তরাধিকারী তৃতীয় আলেকজান্ডার। ১৮১৮ সালে মস্কোর ক্রেমলিনে জন্ম নেয়া দ্বিতীয় আলেকজান্ডার, ১৮৮১ সালে মারা যান আততায়ীর হাতে, সেন্ট পিটার্সবার্গের উইন্টার প্যালেসে। দ্বিতীয় আলেকজান্ডার পোল্যান্ডেরও রাজা ছিলেন।

রাশিয়ার সম্রাট দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সমাধিস্থলের দুটি ভাগ, গীর্জার মূল প্রান্ত আলাদা হয়েছে ইতালিয়ান মার্বেল পাথরে, যা ইতালির জেনোয়া থেকে তৈরি হয়ে এসেছে। দেয়ালজুড়ে জিশু ও মেরীর চিত্র, যা মোজাইকে তৈরি।

সূত্র-বিবিসি

আরকে//