হুমায়ূন আহমেদের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত : ০৯:১৯ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:১৯ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৬ মঙ্গলবার
আকাশ ভরা জোছনা আছে, আছে বর্ষার রঙ-বৃষ্টির গান, সবুজে-সুন্দর নুহাশ পল্লীতে নেই শুধু প্রিয় হুমায়ূন। অনন্ত নক্ষত্রের দেশে তার চলে যাবার ৪ বছর হলো আজ। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্ম নেয়া নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ মাত্র ৬৪ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চির বিদায় জানান পৃথিবীকে।
বৃষ্টি আর বরষার এমনো দিনে চলে যাওয়া হুমায়ূন আর ফিরবেন না, তবু হুমায়ূন আছেন তার অমর সব কীর্তিগাঁথায়; লেখায়-গানে, নাটকে-সিনেমায়।
জীবনভর আপন মনের পাখনা মেলে ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে পথ চলেন হুমায়ূন, ছকে বাঁধা জীবন থেকে বের হয়ে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা চাকরি ছেড়ে শুরু করেন সাহিত্য সাধনা।
বাংলা সাহিত্যে নতুন দিনের সূচনা হুমায়ূনের হাত ধরেই। গল্প, উপন্যাস, নাটক চলচ্চিত্র সব অঙ্গনে সফল তিনি। সৃষ্টি করেছেন হিমু, মিসির আলীর মতোন অমর সব চরিত্র। ১৯৭২-এ নন্দিত নরকে উপন্যাস দিয়ে শুরু করা হুমায়ূনের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন শতাধিক।
৮০-এর দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য নাটক লেখা শুরু করেন হুমায়ূন আহমেদ। এইসব দিন রাত্রি, আজ রবিবার, বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই, অয়োময় নাটক জয় করে নেয় দর্শক হৃদয়।
তাঁর পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণি। এরপর শংখনীল কারাগার, দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, শ্যামল ছায়া, চন্দ্রকথা, আমার আছে জল দর্শকদের অকুণ্ঠ ভালবাসায় সিক্ত হয়। তাঁর সবশেষ চলচ্চিত্র ঘেটু পুত্র কমলা।
বহু-বর্ণিল ক্যারিয়ারে হুমায়ূন পেয়েছেন বাংলা একাডেমী, একুশে ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক পদক ও সম্মাননা।
২০১২ সালের ঘোর বরষার এক অমানিশা আঁধারের রাতে মহাপ্রয়াণ হুমায়ূন আহমেদের; সে রাত হয়তো চান্নি পসর ছিলো না, তবু তার জ্বেলে যাওয়া আলোয় তিনি অমর হয়ে থাকবেন আরো অযুত নিযুত অহোরাত্রি।