ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক শুরু
প্রকাশিত : ০৬:১৭ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৮ সোমবার
অবশেষে শুরু হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকির রাষ্ট্রপতি বাসভবনে চলছে দুই রাষ্ট্রনায়কের ঐতিহাসিক এই বৈঠক।
নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪৫ মিনিট দেরিতে শুরু হয় এই বৈঠক। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছাতে দেরি করলে স্থানীয় সময় দুপুর দুইটায় শুরু হয় এই দ্বিপক্ষীয় সাক্ষাৎ। এসময় শুরুতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বার্তা দেন দুই প্রেসিডেন্ট।
নিজেদের মধ্যেকার একান্ত আলাপচারিতা শুরুর আগে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুশ প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে বলেন যে, এই বৈঠকের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে এমন এক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হতে পারে যা দুই দেশের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।
ট্রাম্প বলেন, “খোলামেলা করে বললে, আমার মনে হয় আমাদের দুই দেশের একত্রে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। বিগত বছরগুলোতে আমরা একত্রে কাজ করার সুযোগ পাইনি। আমার মনে হয় আমাদের মধ্যে শেষমেষ অসাধারণ এক সম্পর্ক তৈরি হবে।
এর আগে সোমবার সকালেই এক টুইট বার্তায় রাশিয়ার সাথে বৈরি সম্পর্কের জন্য মার্কিন নীতিকেই দায়ী করেন ট্রাম্প। টুইটে তিনি লেখেন, “রাশিয়ার সাথে আমাদের সম্পর্ক সবথেকে খারাপ পর্যায়ে গেছে। আর এর জন্য ধন্যবাদ মার্কিন বোকামি এবং হঠকারি সিদ্ধান্ত”।
এসময় সদ্য সমাপ্ত ফুটবল বিশ্বকাপের ভালো আয়োজন ও খেলার জন্য রুশ প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
একান্ত বৈঠক!
ট্রাম্প চেয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্টের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হবে একান্ত পর্যায়ে। আর এমনটাই হয়েছে বাস্তবেও। সকল প্রটোকল ভেঙ্গে শুধু দোভাষীদের সাথে নিয়ে একে অপরের সাথে আলোচনায় বসেছেন বিশ্বের পরাক্রমশালী দুই রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান।
ট্রাম্প চাচ্ছিলেন বৈঠকে পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে জানতে ও বুঝতে একাকি পুতিনের সাথে বৈঠকে আগ্রহী ছিলেন পুতিন। এছাড়াও রাশিয়ার উদ্দেশ্যে কোন কড়া কথা বা ট্রাম্পের কথার মাঝে হস্তক্ষেপ করতে পারেন এই আশংকায় সাথে কাউকেই রাখেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রুশ প্রেসিডেন্টও তার সাথে দোভাষী ছাড়া আর কাউকে রাখেননি।
সূত্রঃ সিএনএন
//এস এইচ এস// এআর