ঢাকা, রবিবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২০ ১৪৩১

জিপি’র গ্রাহক ৬ কোটি ৯২ লক্ষ

প্রকাশিত : ১১:০৪ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:০৫ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৮ সোমবার

দেশের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন (জিপি) এর বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ছয় কোটি ৯২ লক্ষ। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ব্যবহার করেন ইন্টারনেট। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির অর্ধবার্ষিকী প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।

জিপি জানায়, চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত এক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা ছয় কোটি ৯২ লক্ষ। গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। ডাটা গ্রাহক বা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ যা মোট গ্রাহকের প্রায় অর্ধেক।

চলতি বছরের ছয় মাস সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্ব আয় ছয় হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার এক দশমিক দুই শতাংশ। ২৬ শতাংশ মার্জিনসহ নেট মুনাফার পরিমাণ এক হাজার ৭২০ কোটি টাকা; ইপিএস ১২ দশমিক ৭৪ টাকা। ডাটা থেক অর্জিত রাজস্বের প্রবৃদ্ধি ছিল ২১ দশমিক ১ শতাংশ আর ভয়েস থেকে অর্জিত রাজস্বের প্রবৃদ্ধি হয় ২ দশমিক ৪ শতাংশ।

চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোর-জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ জিপি দুই হাজার ৫৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। এই সময়ে কোম্পানি কর, ভ্যাট, শুল্ক, স্পেকট্রাম বরাদ্দ, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ও লাইসেন্স  ফি আকারে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অবদান চার হাজার ৭৯০ কোটি টাকা প্রদান করেছে যা মোট রাজস্বের ৭৪.৭%।

গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, ‘বিরূপ আবহাওয়া এবং তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে ২০১৮- এর প্রথমার্ধ ছিল খুবই কঠিন। তবুও, আমরা স্বাস্থ্যকর প্রবৃদ্ধি এবং মার্জিন বজায় রাখতে পেরেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ২০ লক্ষ ৪জি গ্রাহকের মাইলফলক অতিক্রম করেছি এবং গ্রাহকদের সেরা অভিজ্ঞতা দিতে আমাদের নেটওয়াক বিস্তার ও আধুনিকায়নের কাজ পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে চলছে। আমাদের সুসংহত ভয়েস ও প্রতিযোগিতামূলক ডাটা অফার গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়েছে।’

গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, ‘বছরের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের ইবিআইটিডিএ এবং মার্জন দুটোই বেড়েছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আমরা ইতিবাচকভাবে ২০১৮- এর প্রথমার্ধ শেষ করতে পেরেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে গ্রামীণফোনের বোর্ড পরিশোধিত মূলধনের ১২৫% অন্তবর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছেন।’

৪জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বছরের প্রথমার্ধে বিনিয়োগ করেছে ২৫৪০ কোটি টাকা ।

//এস এইচ এস//