ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

স্বর্ণ হেরফের করার কোনো সুযোগ নেই: বাংলাদেশ ব্যাংক 

প্রকাশিত : ০৭:০৮ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৫৪ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রবিউল হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত স্বর্ণ হেরফের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।      

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রবিউল হাসান বলেন, স্বর্ণ হেরফের হওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। সুরক্ষিত জায়গায় স্বর্ণ আছে। ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত স্বর্ণ হেরফের হওয়ার কোনো ধরনের সুযোগ নেই।   

তিনি বলেন, এটা শুল্ক গোয়েন্দার নিজস্ব রিপোর্ট। এই রিপোর্টের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো সর্ম্পক নাই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মেশিনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মেশিনের মাপের পার্থক্য হয়। এই মেশিন নিয়ে সন্দেহ আছে।  

‌‘যেসব স্বর্ণ নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যাচাই করার আবেদন করা হয়েছে।’ 

মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে স্বর্ণ চুরির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে বিকেলে এ সংবাদ সম্মেলন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  

উল্লেখ্য এর আগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট কাস্টম হাউসের গুদাম কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ গোলাকার কালো প্রলেপযুক্ত একটি সোনার চাকতি এবং একটি কালো প্রলেপযুক্ত সোনার রিং বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ওই চাকতি এবং আংটি যথাযথ ব্যক্তি দিয়ে পরীক্ষা করে ৮০ শতাংশ (১৯ দশমিক ২ ক্যারেট) বিশুদ্ধ সোনা হিসেবে গ্রহণ করে প্রত্যয়নপত্র দেয়। কিন্তু দুই বছর পর পরিদর্শন দল ওই চাকতি ও আংটি পরীক্ষা করে তাতে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ (১১ দশমিক ২ ক্যারেট) সোনা পায়। আংটিতে পায় ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ সোনা (৩ দশমিক ৬৩ ক্যারেট)। ধারণা করা হচ্ছে ভল্টে রাখার পর এগুলো পাল্টে ফেলা হয়েছে।

প্রতিবেদন বলছে, ভল্টে থাকা সোনার চাকতি এবং আংটি পরীক্ষার পর দেখা গেল এগুলো সোনার নয়, অন্য ধাতুর মিশ্রনে তৈরি। এতে সরকারের ১ কোটি ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬ টাকা ৫০ পয়সা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।   

এসি