অনাস্থা প্রস্তাবে তৃণমূলের সদস্যদের হাজির থাকার নির্দেশ মমতার
প্রকাশিত : ১০:১৫ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ভারতের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হাজির থাকার জন্য ৩৪ জন তৃণমূল এমপিকে হুইপ জারি করেছেন দলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী শুক্রবার লোকসভায় এই প্রস্তাবের পক্ষে বিপক্ষে ভোটাভুটি হবে।
শনিবার কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের জনসভা। শুক্রবার অনেক রাত পর্যন্ত লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এবং ভোটাভুটি চললে ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে পৌঁছতে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু তারপরেও বিরোধী ঐক্যের স্বার্থে মমতা এই সিদ্ধান্ত নেন বলে তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য।
এমপিদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে— শুক্রবার যত রাতই হোক, চিন্তা করতে হবে না। ভোটাভুটি শেষ না-হওয়া পর্যন্ত এমপিরা অধিবেশন ছেড়ে বেরোবেন না। দরকারে শনিবার ভোরের বিমানে কলকাতা ফিরবেন।
তবে দলীয় সূত্র এ-ও বলছে, অনাস্থা নিয়ে কংগ্রেসের সিদ্ধান্তে মমতা ক্ষুব্ধ। তৃণমূল নেত্রী মনে করেন, উনিশের ভোটের আগে এই অনাস্থা ভোটে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি। কেননা লোকসভায় আসন সংখ্যার নিরিখে ভোটাভুটি হলে বিরোধীদের পরাজয় নিশ্চিত। বুধবার নবান্নেও মমতা বলেন, ‘এটা আসল অনাস্থা নয়। সাত-আট মাস পরে আসল অনাস্থা আনবে জনগণ। সংসদের ভিতরে ওদের সংখ্যা আছে, বাইরে নেই। (তবে) বৃহত্তর স্বার্থে আমরা থাকব।’মমতার ক্ষোভের আর একটি কারণ, অনাস্থা নিয়ে আগে তাঁর পরামর্শ নেওয়া হয়নি। গতকাল কংগ্রেসের এক দ্বিতীয় সারির নেতা তৃণমূলের এক সংসদীয় নেতাকে বিষয়টি জানিয়ে দলের সমর্থন চান। কংগ্রেসের এই আচরণে নেত্রী ক্ষুব্ধ। তাই অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিসে সই করেননি কোনো তৃণমূল সাংসদ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত কাল কংগ্রেস, সিপিএম-সহ আটটি বিরোধী দলের নেতারা ট্রেজারি বেঞ্চের বিরুদ্ধে সংসদীয় অবমাননার অভিযোগ এনে স্পিকারকে যে যৌথ চিঠি লিখেছেন, তাতেও থাকেনি তৃণমূল।
গতকাল লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবটি আনার সময়ে হাজির ছিলেন তৃণমূলের সৌগত রায়, দীনেশ ত্রিবেদী এবং অনুপম হাজরা। স্পিকার এই প্রস্তাব মেনে শুক্রবারই ভোটাভুটির দিন ধার্য করে দেন। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় মোদী সরকারের সমালোচনার সুযোগ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন মমতা। সেটি কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সূত্র : আনন্দবাজার।
/ এআর /