সুনিয়ন্ত্রিত যৌনতায় ভরসা কীসের উপর?
প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার
পরিকল্পিত পরিবার গড়ে তুলতে যে বিষয়টি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তা হল জন্মনিয়ন্ত্রণ। তাই বর্তমানে দম্পতিরা গর্ভনিরোধকের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন। তাদের কাছে সবচেয়ে ভরসাযোগ্য রক্ষাকবচ পিল এবং কন্ডোম। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষণিকের আবেগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তখন ডিফেন্ডারও ফেল করে। তাই কোন পদ্ধতিটি বেশি নিরাপদ সেই নিয়ে অনেকের মধ্যেই নানা সংশয় ও অনিশ্চয়তা প্রকাশ পায়। হতাশ না হয়ে সত্যিই কোনটা বেশি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর তা জেনে তবেই আবেগে মাতুন।
নিরাপদের দিক থেকে দুটিই সফল। কিন্তু তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কতটা? সেক্ষেত্রে কন্ডোমের ক্ষমতার কাছে পিলকে ঢোক গিলতেই হয়। অনেকটা নির্ভর করে যিনি ব্যবহার করছেন তার বিশ্বাসের উপরও। আসলে দু’টি পদ্ধতিই সমানভাবে কার্যকর। পুরোটাই নির্ভর করছে কোন সময় নেওয়া হচ্ছে এবং কীভাবে তা ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সঙ্গমের সময় কন্ডোম ছিঁড়ে যেতে পারে, তাই আগে কন্ডোমের সঠিক ব্যবহার জেনে নিয়ে তবেই প্রয়োগ করা উচিত। এমন হলে নিরাপত্তার জন্যে বিশেষজ্ঞরা দম্পতিদের দুটি পদ্ধতিই ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কন্ডোম শুধুমাত্র জন্মনিরোধকই নয়, এসটিডি (সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিসিস) অর্থাৎ যৌনরোগ থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয়। যে কোনও বয়সের পুরুষরাই কন্ডোম ব্যবহার করতে পারেন।
অন্যদিকে পিল অপ্রত্যাশিত জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও এইচআইভি বা এইডস থেকে সুরক্ষা দিতে পারে না। উলটো এই ট্যাবলেটের দীর্ঘ ব্যবহারে শরীরে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হয়। কখন নেবেন পিল? সুরক্ষা ছাড়া যৌন মিলনে লিপ্ত হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিল সেবন করলে ৯০ শতাংশ প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা এড়ানো যায়। তবে মনে রাখতে হবে যত তাড়াতাড়ি এটি সেবন করবেন তত দ্রুত ফল পাওয়া যাবে। অর্থাৎ প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেবন করলে ৯৫ শতাংশ ফল মিলবে।
আরকে//