ভ্যাট হ্রাসের প্রভাব
কমানো হচ্ছে ইন্টারনেটের মূল্য
প্রকাশিত : ০১:১৩ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার
গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। ইন্টারনেট সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ১৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করায় সংগঠনটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে একই সঙ্গে ট্রান্সমিশন সেবায় অপরিবর্তিত রাখা ভ্যাট কমিয়ে আনার প্রত্যাশা করছে সংগঠনটি।
গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যয় কমানোর উদ্দেশ্য নিয়ে মূসকের হার হ্রাসে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইন্টারনেট খাতে মূসক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় আইএসপিএবির সব সদস্য প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সংশোধিত মূসক বিধি জারি ও এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্থাৎ সমগ্র বাংলাদেশে সবার কাছে স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সব সদস্য প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।
তবে সংশোধিত মূসক বিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর ক্ষেত্রে আইএসপি অপারেটররা কিছু বাস্তব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। মূলত ব্যান্ডউইডথ ট্রান্সমিশন (এনটিটিএন) চার্জে আগের ১৫ শতাংশ হারে মূসক বজায় থাকা ও রেয়াতের বিধান অকার্যকর হয়ে যাওয়ার ফলে সার্ভিস প্রোভাইডারদের ব্যান্ডউইডথ ট্রান্সমিশন ব্যয় আগের তুলনায় না কমে বরং বাড়ছে।
আইএসপিএবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন আইএসপি অপারেটরের মোট পরিচালন ব্যয়ের ৬০-৭০ শতাংশই হয় শুধু ব্যান্ডউইডথ ট্রান্সমিশনে। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই ট্রান্সমিশন চার্জের এ বৃদ্ধির প্রভাবে মোট পরিচালন ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাচ্ছে। এ একটিমাত্র কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাস, এমনকি বর্তমান মূল্য বজায় রাখাও আইএসপি অপারেটরদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান অবস্থায় শুধু আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করেই একজন আইএসপি অপারেটরের পক্ষে গ্রাহকদের আগের চেয়ে কম মূল্যে বা আগের সমান মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব। এনবিআরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাস্তব অবস্থা তুলে ধরে আমরা এ বিষয়ে বোর্ডের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা কামনা করি। আমাদের উত্থাপিত যুক্তি, তথ্য ও উপাত্ত বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শিগগিরই মূসক-বিধি পুনর্বিবেচনা করার আশ্বাস প্রদান করে।
গত ১৮ জুন এনবিআর ইন্টারনেট খাতে প্রচলিত মূসক কাঠামোতে সংশোধন করে একটি প্রজ্ঞাপন (এসআরও নং-২০৪-আইন/২০১৮/৮০৭-মূসক) জারি করে। সংশোধিত নিয়মে ব্রডব্যান্ড ক্রয়ে ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ ও চূড়ান্ত ইন্টারনেট সেবায় ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ মূসক আরোপ করার বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু ইন্টারনেট ট্রান্সমিশন (এনটিটিএন) চার্জের ক্ষেত্রে আগের মতো ১৫ শতাংশ মূসকই বহাল রাখা হয়েছে। এ পরিবর্তনের ফলে আইএসপি অপারেটররা আগে ব্যান্ডউইডথ ক্রয় ও ট্রান্সমিশন চার্জে যে ১৫ শতাংশ হারে মূসক রেয়াত পেতেন, বিধি অনুযায়ী তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অকার্যকর হয়ে যায়।
আরকে//