৫ লক্ষণে বুঝবেন সম্পর্ককে ঝুলিয়ে রাখতে চায় সঙ্গী
প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:৫৯ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৮ শনিবার
যারা সত্যিকারের সম্পর্ক তৈরি করতে চায় তারা একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবার উপলক্ষ রাখে। কিন্তু কিছু কিছু ব্যক্তি আছে যাদের সম্পর্ক নিয়ে কোন লক্ষ্যে নাই তারা প্রেমের সম্পর্কটাকে ঝুলিয়ে রাখে। এই সম্পর্কে কোন ভবিষ্যৎ থাকে না। এই ধরনের সম্পর্ক থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। তবে অনেকেই বুঝতে পারে না যে তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কি না, তাদের জন্য রইলো পাঁচটি লক্ষণ-
১) ‘ঝুলে থাকা’ সম্পর্কের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল সঙ্গীর হঠাৎ করে ভাল লাগার লক্ষণ। ধরুন যে, দু’তিনদিন ধরে অনেক কথা বললেন তার সঙ্গে। কিন্তু দু’তিনদিন কথা বলার পরে আবার দিন সাতেক তার কোনও পাত্তা নেই। আবার হঠাৎ একদিন ভীষণ ভালবাসা নিয়ে ফোন অথবা টেক্সট করেন এবং ডেটে যাওয়ার কথা বলেন। ঠিক যখন আপনি ভাবতে শুরু করেছেন যে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে, তখনই আবার সে বেপাত্তা। এইভাবে কোনওদিন কোনও সুস্থ, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হতে পারে না।
২) ঝুলিয়ে রাখার প্রবণতা থাকলে সেই মানুষটি কখনওই নিজের পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিতে চান না। এমনকি ডেটে যাওয়ার সময়েও তারা এমন জায়গা খোঁজেন, যেখানে কারও সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৩) যারা ঝুলিয়ে রাখতে পছন্দ করেন, তাদের এই উদাসীন আচরণ নিয়ে কিছু বলতে গেলেই সচরাচর তারা খুব আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তারা খুব ভালভাবেই জানেন যে তারা কী করছেন অথচ তারা যে ঝুলিয়ে রাখছেন কারও কাছে সেটা স্বীকার করতে চান না। তাই এই প্রসঙ্গ উঠলেই সাধারণত অন্য মানুষটির উপরে চোটপাট করেন, খুঁত ধরেন, অনেক সময় বেশ অ্যাবিউজিভ কথাবার্তাও বলেন। যদি সত্যিই কেউ কাজে ব্যস্ত থাকার দরুন যোগাযোগ না করতে পারেন তবে তিনি শান্তভাবে তার ভালবাসার মানুষকে বোঝাবেন অসুবিধার কথা, উল্টে তাকে আরও বেশি কষ্ট দেবেন না।
৪) হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেনজারে মেসেজ দেখেই সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া হয়তো সম্ভব হয় না। কিন্তু যদি ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও সেই মেসেজের উত্তর না আসে, অথচ এর মধ্যে বহুবার সেই ব্যক্তি অনলাইন এসে থাকেন তবে বুঝতে হবে যে তিনি আপনার সম্পর্কে বেশ ক্যাজুয়াল এবং তিনি আপনাকে কোনও রকম গুরুত্বই দেন না।
৫) সম্পর্ক হলে নিয়মিত দেখা করাটা সব সম্পর্কের ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক। সেই নিয়মিতটা সপ্তাহে একদিনও হতে পারে বা পাঁচদিনও হতে পারে। নির্ভর করছে দু’জনের সুযোগ-সুবিধার উপরে। কিন্তু যদি কেউ একদিন দেখা করার পরে একমাস ধরে আর দেখা করতে না পারেন বা সময় দিতে না চান, তবে ব্যাপারটা বেশ সন্দেহজনক।
কেএনইউ/