ঘুম এনে দেবে এই ৬ খাবার
প্রকাশিত : ০১:২৬ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০১:৩০ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার
শরীরের জন্য ঘুম খুবই জরুরি। আর সুন্দর একটা দিন শুরু করার জন্য দরকার একটা গভীর ঘুম। কিন্তু বিছানায় শুয়েও ঘুম আসতে চায় না অনেকেরই। রাতে আবার অনেকবার ঘুমও ভেঙে যায়। তাহলে উপায়? ভাল ঘুমের চাবিকাঠি আসলে কী? এ ভাবনা ভেবে আবার রাতের ঘুম ওড়াবেন না। জেনে রাখা ভালো, কিছু খাবার আছে, যা ঘুমনোর আগে খেয়ে শুলে ঘুম হবে গাঢ়। ওষুধের প্রয়োজন পড়বে না। জেনে নিন কী কী।
গরম দুধ
আয়ুর্বেদ ও বিজ্ঞান- উভয়েই স্বীকার করে, এক গ্লাস গরম দুধ গাঢ় ঘুমের বন্ধু। দুধে থাকে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড যা রূপান্তরিত হয় সেরোটোনিনে। যা মস্তিষ্কে আরামদায়ক অনুভূতির সৃষ্টি করে। ঘুম আনে। ভাল ফল পেতে দুধের সঙ্গে খুব সামান্য জায়ফল গুঁড়ো, এলাচ গুঁড়ো ও কাজু বাদাম গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন।
চেরি
চেরিতে আছে মেলাটোনিন, যা আমাদের মস্তিষ্কের পিনিয়াল গ্রন্থি থেকেও ক্ষরণ হয়। এটিই আমাদের ঘুম এবং জাগরণের শারীরিক চক্রটিকে নিয়ন্ত্রণ করে। মেলাটোনিন পর্যাপ্ত পরিমাণে না ক্ষরিত হলে কিছুতেই ঘুম আসবে না। মানসিক ক্লান্তি কমাতেও সাহায্য করে এটি। তাই ঘুমনোর আগে বেশ কয়েকটা খেলে ঘুম তো হবেই, শরীরও থাকবে ঝরঝরে।
ডার্ক চকোলেট
চকোলেট মেদ বাড়ায়। কিন্তু ডার্ক চকোলেট? মেদ তো বাড়ায়ই না, উপরন্তু সেরা নিদ্রা উদ্রেককারী খাবারগুলোর মধ্যে এটি একটি। এতে সেরোটোনিন থাকায় এটি মস্তিষ্ক এবং মনকে শান্ত করে। তবে যথেচ্ছ ডার্ক চকোলেট খেয়ে ফেলাও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ভাল ঘুমের জন্য ঘুমনোর আগে খান দু’-তিন টুকরো ডার্ক চকোলেট।
ওটস
ওটস কেবল ওজন হ্রাস করে এমনই নয়, ঘুমের জন্যও এর উপর ভরসা রাখতে পারেন। ডিশটিকে সুস্বাদু ও আরও ঘুমের সহায়ক করতে চাইলে এতে মেশান মধু। চিকিৎসকদের মতে, ওটসের ফাইবার পেশীগুলোকে শান্ত করে। ফলে ঘুম আসে তাড়াতাড়ি।
ক্যামোমিল চা
সুগন্ধী এই চা ঘুমনোর আগে খেলে অনিদ্রার দুশ্চিন্তা দূর হবে। চিকিৎসকদের মতে, এটি হালকা অবশকারী পদার্থ হিসাবে কাজ করে। এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড, এপিজেনিন মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ফেলে ও ঘুম আনে। ভেষজ চা হিসেবে সারা পৃথিবীতে এই চায়ের চাহিদাও অনেক।
কাঠ বাদাম
গাঢ় ঘুমেও সাহায্য করে কাঠ বাদাম বা আমন্ড। দুধের মতোই এতে থাকে ট্রিপ্টোফ্যান, যা মস্তিষ্কে এবং স্নায়ুতে আরামদায়ক অনুভূতি এনে দেয়। অন্যদিকে, এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের হৃদযন্ত্রকে ভাল রাখে। হৃদস্পন্দনের ছন্দকেও ঠিক রাখে।
সূত্র: আনন্দবাজার
একে//