ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ডার্টি পিকচারের নাসিরউদ্দিন সত্তরেও ‘সিরিয়াস’  

প্রকাশিত : ১১:১২ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার

ডার্টি পিকচারের অন্যতম অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহ সম্প্রতি সত্তর বছর পূর্ণ করেছেন। এই সত্তর বছরে পৌঁছেও তিনি তার অভিনয় নিয়ে এখনো সিরিয়াস। তার কাছে অ্যাওয়ার্ড অভিনয়ের মাপকাঠি নয়৷ 

তার কাছে অভিনয় এবং ব্যক্তিগত জীবন একই রকম৷ নাসিরুদ্দিনের মতো অভিনেতার অ্যাওয়ার্ডের দরকার পড়ে না৷ তার দরকার পড়ে ভালো স্ক্রিপ্ট৷ তার মতো অভিনেতা জানেন শুধু খিদে৷ অভিনয়ের খিদে৷

ভাল চিত্রনাট্যের খিদে৷ এরকম অভিনেতাদের বসবাস এক অন্য জায়গায়৷ যেখানে নেপোটিজম নেই, বলিউডের আইটেম নম্বর নেই, সালমান খানের ছবির মতো ‘নো ব্রেন’ স্ক্রিপ্টও নেই৷

রয়েছে অভিনয়ের প্রতি নিখাদ ভালবাসা৷ নাসিরউদ্দিন মতো স্টেজ অ্যাক্টরদের জার্নি সাধারণত অন্যরকমভাবে শুরু হয়৷ নাটকের মঞ্চ এদের কাছে প্রথম প্রেমের মতো৷ আর রূপোলি পর্দায় অভিনয় করতে এলেও সেই প্রেমের ছোঁয়া বারে বারে পান দর্শকরা৷

দেখতে সুন্দর না হলে হিরো হবে কী করে? নায়ক হওয়ার প্রথম প্রয়োজনীয়তা হল হ্যান্ডসাম চেহারা৷ ফর্সা না হলেও টল-ডার্ক অ্যান্ড হ্যান্ডসাম তো হতেই হবে৷ এসব প্রয়োজনীয়তার কথা একবারের জন্যও নাড়া দেয়নি নাসিরের অভিনয় সত্ত্বাকে৷

‘থিয়েটার অ্যাক্টরদের সুন্দর চেহারার প্রয়োজন হয় না’ এ কথা কম-বেশি নাসিরুদ্দিনকেও শুনতে হয়েছে৷ কিন্তু নাটকের মঞ্চে, চোখে গ্লিসারিন দেওয়ার সময় থাকে না৷ শেষের সারিতে বসা দর্শকদেরও যেন তার অভিনয় নাড়া দেয়৷ কোনায় বসা দর্শকের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গিয়ে পৌঁছায় অভিনেতার আওড়ানো প্রতিটা শব্দ৷ এগুলোর জন্য টল-ডার্ক অ্যান্ড হ্যান্ডসামের থেকেও দরকার নাসিরউদ্দিনের মতো অভিনয়ের দক্ষ কারিগর হওয়া৷

উত্তরপ্রদেশে বারাবাঙ্কি শহরে জন্ম নাসিরউদ্দিন শাহের৷ পড়াশোনার জন্য দিল্লি চলে এসেছিলেন তিনি৷ সেখান থেকেই শুরু হয় অভিনয়ের সফর৷ ‘ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা’ অ্যাটেন্ড করেছিলেন৷ সেখান থেকেই অভিনয়ের পথচলা শুরু৷ সময় পেরিয়েছে৷ বলিউড তাকে চিনেছে প্রতিটি ছবিতে নতুন করে৷ তবুও এসবের মধ্যে নাসির সাহেব সিরিয়াস ভীষণই সিরিয়াস৷ কে বলে প্রেম নাকি সিরিয়াস জীবনের জন্য নয়৷ তাহলে কর্মমুখর নাসিরউদ্দিনের জীবন কী ?

এমএইচ/এসি