ঢাকা, রবিবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

বাঁচানো গেলো না রাজীব মীরকে

প্রকাশিত : ১০:২৭ এএম, ২১ জুলাই ২০১৮ শনিবার

শিক্ষার্থীদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে অবশেষে পরপাড়েই চলে গেলেন চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক রাজীব মীর। দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৩৭ মিনিটে ভারতের চেন্নাইয়ের গ্লোবাল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দীর্ঘদিন ধরেই লিভার রোগে ভুগছিলেন জনপ্রিয় এ শিক্ষক। রাজিব মীর কেবল শিক্ষকতা-ই নয়, নাগরিক সমাজেও ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে তার। এ ছাড়া টকশোরও জনপ্রিয় মুখ ছিল সদা হাস্যোজ্বল এ ব্যক্তিটি।

শহীদুল হক জানান, গত ১৭ জুলাই রাতে চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। স্ট্রোক করার পরপরই চেন্নাইয়ের ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেন। তবে পরিবারের অনুরোধে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয় তাকে। পরে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৩৭ মিনিটে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়।

বেশ কয়েক মাস ধরে লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন তিনি। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই রোগের চিকিৎসার জন্য গত কয়েক মাস ধরে ভারতে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকতে হয়েছে রাজীব মীরের পরিবারকে। চলতি সপ্তাহে রাজীব মীরের অপারেশন ও লিভার পরিবর্তনের কথা ছিল।

রাজীব মীরের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শহিদুল হক লিখেছেন, ‘আমার বন্ধু রাজীব মীর আর নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহপাঠী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহকর্মী রাজীব মীর গত রাত ১:৩৭ মিনিটে ইন্তিকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন রাজীব মীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর রাজীব কবিতা লেখা ছাড়াও নিয়মিত লেখালেখি করতেন। সমাজকর্মী ও গবেষক হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।

এমজে/