ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

ইংল্যান্ডের বুলেট ট্রেন প্রজেক্ট নিয়ে বিতর্ক

প্রকাশিত : ০২:১৫ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৮ সোমবার

জাপানের বিখ্যাত বুলেট ট্রেন প্রজেক্ট নিয়ে কয়েক বছর ধরেই কাজ করছে ইংল্যান্ড। তবে প্রজেক্ট নিয়ে মতবিরোধ আছে খোদ ইংলিশদের মাঝেই। আর এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক ও বিক্ষোভ। ট্রেনের থেকে বিমান যাত্রার পক্ষেই মত বেশিরভাগ ইংলিশদের। এছাড়া বুলেট ট্রেন প্রজেক্টে বিদেশি নাগরিকেরা জড়িত থাকায় অনিয়মের গন্ধও পাচ্ছেন তারা।

ইংল্যান্ড দুইটি ধাপে এই ‘হাই স্পিড-টু’ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। প্রথম ধাপে রাজধানী লন্ডনের সাথে যুক্ত হবে বার্মিংহ্যাম। আর দ্বিতীয় ধাপে ম্যানচেস্টার, শেফিলন্ড এবং লিডস যুক্ত হবে এই বুলেট ট্রেন নেটওয়ার্কে।

বুলেট ট্রেনের গতি থাকবে ঘন্টায় ৪০০ কিলোমিটার। আর ২০২৬ সাল নাগাদ শেষ হতে পারে প্রথম ধাপের কাজ। প্রথম ধাপে ঘন্টায় এক হাজার যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে ট্রেনগুলো।

বুলেট ট্রেন প্রজেক্টের পক্ষে যারা আছেন তাদের দাবি, এর ফলে দেশটিতে পরিবহণ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। এছাড়াও ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে এই প্রজেক্ট থেকে কর্মসংস্থান হবে কয়েক হাজার মানুষের। ৫৬ বিলিয়ন পাউন্ডের এই প্রজেক্ট থেকে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পরবে বলে দাবি তাদের।

তবে বিরোধী পক্ষের দাবি হলো যে, ইংল্যান্ডের বর্তমান প্রেক্ষাপটে একেবারেই ‘প্রয়োজনহীন’ এই বুলেট ট্রেন। ব্রিটিশদের মধ্যে পরিবহণের জন্য উড়োজাহাজ দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। তাই বুলেট ট্রেন শেষ পর্যন্ত যাত্রী সংকটেই পরতে পারে বলে অভিমত বিরোধীদের। অনেকেই এটিকে ‘সাদা হাতির প্রজেক্ট’ বলে সমালোচনা করছেন।

এছাড়াও চীনা সংশ্লিষ্টতার জন্যও এর ঘোর বিরোধিতা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বপ্নের এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নের কাজ পেতে পারে চাইনিজ প্রতিষ্ঠান। এর ফলে দেশীয়  প্রতিষ্ঠানগুলো বঞ্চিত হতে পারে। চীনের গংসং রেল কোম্পানি এবং হংকং এর এমটিআর করপ; এই দুইটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রের মাধ্যমে কাজ পাবে বলে আশঙ্কা বিরোধীদের। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে আগামী বছর। কিন্তু তার আগেই ব্রিটিশ ভূমিতে চাইনিজদের এমন শক্ত পদার্পণের বিরোধীতা করছেন রক্ষণশীলরা।

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে লেবার দলের নেতা জেরেমি কর্বেন যদি জয়ী হন তাহলে শেষ পর্যন্ত বাতিলই হয়ে যেতে পারে স্বপ্নের বুলেট ট্রেন প্রজেক্ট।

সূত্রঃ জি নিউজ

//এস এইচ এস// এআর