ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

পাকিস্তানে নির্বাচন: পাঞ্জাব নির্ধারণ করবে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৮ সোমবার

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে পাঞ্জাব প্রদেশের ভোটই ব্যবধান গড়ে দিতে যথেষ্ট। অনেকে মনে করছেন, পাঞ্জাব প্রদেশই হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের মূল লড়াই কেন্দ্র। এখানে যে জয় পাবে, তারাই মূলত সরকার গঠন করতে পারবে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মোট ১০ কোটি ৬ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যাচ্ছে। নির্বাচনে সাধারণ আসন সংখ্যা ২৭২, যেখানে পাঞ্জাব প্রদেশে সবচেয়ে বেশি ১৪৮টি আসন রয়েছে। আর সিন্ধু প্রদেশে ৬১, খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩৫, বেলুচিস্তানে ১৪, কেন্দ্র শাসিত উপজাতীয় এলাকায় ১২ ও কেন্দ্রের রাজধানীতে ২টি আসন রয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশ নওয়াজ শরিফের জন্মস্থান ও পিএমএল-এনের শক্ত ঘাঁটি। মূল লড়াইটা হবে এখানেই। ইমরান খানকে জিততে হলে এখানেই জিততে হবে।

এবারের নির্বাচনে মূলত লড়াই হবে পিএমএল-এন, পিটিআই ও পিপিপির মধ্যে। নির্বাচনী জরিপে দেখা গেছে, জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে পিটিআই। দলটির প্রধান সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানও নিজের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে বেশ আশাবাদী। আর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নওয়াজের দল পিএমএল। জনমত জরিপে তৃতীয় অবস্থানে আছে পিপিপি।

পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) :এর আগের নির্বাচনে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বে পিএমএল-এন জয়লাভ করে। তবে দুর্নীতির মামলায় ৫ বছর পূর্ণ করার আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে। এমনিক দলীয় প্রধানের পদ থেকেও তাকে সরে যেতে হয়েছে।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) : প্রধান বিরোধী দল পিটিআই। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিকে পরিণত হওয়া ইমরান খান এ দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পশ্চিমাদের কাছে ক্রিকেটার হিসেবেই পরিচিত তিনি। নিজ দেশে রক্ষণশীল ও ধর্মভীরু বলে পরিচিত। এসব কারণে নির্বাচনে তার অনেক জনপ্রিয়তা বলে জানা গেছে।

পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) :দলটির নেতৃত্বে আছেন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তার বাবা আসিফ আলি জারদারি। এ ছাড়া অন্যান্য দলের মধ্যে আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) অবস্থান প্রগতিশীলতা ও সেক্যুলারিজমের পক্ষে। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়াভিত্তিক এই জাতীয়তাবাদী দলটির মূল লক্ষ্য প্রাদেশিক সরকারে নিজেদের জায়গা করে নেওয়া।

মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ও বাণিজ্যিক শহর করাচির একমাত্র দৃশ্যমান রাজনৈতিক শক্তি। করাচির সব রাজনৈতিক ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জন্য এ সংগঠনকে দায়ী করা হয়। জামিয়াত-ই-উলেমা ইসলাম (জেইউআই-এফ), জামায়াত-ই-ইসলাম (জেআই)সহ বেশ কয়েকটি ডানপন্থি ধর্মীয় রাজনৈতিক দল একত্রে গঠন করেছে মুত্তাহিদা মজলিস-ই আমল (এমএমএ)। দলটির মূল লক্ষ্য খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ।

এমজে/