ফল ঠিক হয়ে থাকলে ভোট দিয়ে কি লাভ?
প্রকাশিত : ০৩:৫৬ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৮ সোমবার
আগামী ২৫ জুলাই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নিবেন পাকিস্তানিরা। কিন্তু দুইদিন আগে সেই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ২০১৩ সালে জাতিসংঘের ক্যারেপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী পাকিস্তানি সাংবাদিক বেনজির শাহ। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানি কত জনের এই ভোটে উৎসাহ আছে? কত জনই বা ২৫ তারিখ নির্বাচন বুথের সামনে লাইন দেবেন?
তার মতে, এই আশঙ্কার কারণ দুটি। এবার ভোটের আগে লাগাতার সন্ত্রাসে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার ঘটনা বেশ কিছুটা কমে গিয়েছিল। কিন্তু ভোটের আগের দু’সপ্তাহে চেহারাটা পাল্টে গেল। ১০ জুলাই পেশোয়ারে এক জঙ্গি হামলায় আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি-র নেতা হারুন বিলোয়ারসহ ২২ জন নিহত হন। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষ দল এই এএনপি। আরও ভয়াবহ হামলা ঘটে ১৩ জুলাই। বেলুচিস্তানের মাস্তুংয়ে বালুচ আওয়ামী পার্টির এক জনসভায় জঙ্গি হামলায় প্রায় দেড়শ` জন নিহত হন। জখম হন শতাধিক। নিহতদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী দলের নেতা সিরাজ রায়সানিও। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, আতঙ্ক বাড়ছে।
বেনজির আরও বলেন, তবে শুধু জঙ্গি হামলার আতঙ্ক নয়। দেশের রাজনৈতিক ডামাডোল দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে— ‘‘ভোট দিতে যাব কেন?’’ এই স্বপ্নভঙ্গের আভাস পাওয়া গেছে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক মিটিং-মিছিলেও। সাধারণত ভোটের আগে রাজনৈতিক সমাবেশে যে ধরনের ভিড় হয়, এবার তার থেকে ভিড় অনেকটাই কম। গতবার বিপুল সংখ্যক কমবয়সি ছেলেমেয়ে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু এবার অনেকের সঙ্গেই কথা বলে দেখছি তাদের মনের ভাবটা অনেকটা এ রকম— ভোটের ফল যদি আগে থেকেই ঠিক হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে আর ভোট দিয়ে লাভ কী!
আরকে//