৮ কারণে নিরব ঘাতকে শেষ হয় পুরুষ
প্রকাশিত : ০৪:৫৯ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৮ সোমবার
শুধু পুরুষকে আক্রান্ত করে এমন এক ক্যান্সার হলো টেস্টিকুলার বা অণ্ডকোষের ক্যান্সার। পৃথিবীতে প্রতি ২৬৩ জন পুরুষের মাঝে একজন এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। লক্ষণগুলো সহজে ধরা যায় না বলে এই রোগ আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। চিনে নিন টেস্টিকুলার ক্যান্সারের আটটি নীরব লক্ষণ-
১) স্তনে ব্যথা: অনেকেই ভাবতে পারেন বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে শুধু নারীদের স্তনে ব্যথা হয়। কিন্তু টেস্টিকুলার ক্যান্সারের কারণে পুরুষের স্তনে ব্যথা এমনকি তরল নিঃসরণ হতে পারে। কিন্তু কেন? অণ্ডকোষে টিউমার হলে সেখানে এক ধরণের প্রোটিন তৈরি হয় যা স্তনে এসব প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এ ঘটনায় বিব্রত না হয়ে অতিসত্বর তা ডাক্তারকে জানানো উচিত।
২) অণ্ডকোষের আকার পরিবর্তন: একটি অণ্ডকোষের তুলনায় অন্যটি ছোট বা বড় হওয়া, ফুলে যাওয়া বা একদিকে ঝুলে যাওয়া টেস্টিকুলার ক্যান্সারের উপসর্গ।
৩) অণ্ডথলিতে পানি আসা: অণ্ডথলি বা স্ক্রোটামে পানি আসা স্বাভাবিক, কিন্তু সপ্তাহখানেক ধরে এই অবস্থা বজায় থাকাটা নিঃসন্দেহে অস্বাভাবিক। টিউমার থাকলে এমনটা হতে পারে। এর পাশাপাশি অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তার দেখাতে দেরি করবেন না।
৪) পিঠে ব্যথা ও কাশি: ক্যান্সার যখন শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়ায়, একে বলা হয় মেটাস্ট্যাসাইজিং। এর একটি লক্ষণ হতে পারে পিঠে ব্যথা, কাশি এমনকি ঘাড়ে ফুলে থাকা পিণ্ড। শরীরের যে কোনো স্থানে পিণ্ড দেখা দিলেই তা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরী। কারণ এর অর্থ হতে পারে আপনার টেস্টিকুলার ক্যান্সার আছে এবং তা ছড়িয়ে পড়েছে।
৫) তলপেটে ব্যথা: টেস্টিকুলার ক্যান্সার বেড়ে যাবার আরেকটি উপসর্গ হতে পারে তলপেতে ব্যথা। ফুলে যাওয়া লিম্ফ নোড এবং লিভারে এই ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে।
৬) অণ্ডকোষে ব্যথাহীন একটি পিণ্ড: এই ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হলো টেস্টিকল বা অণ্ডকোষে ব্যথাহীন একটি লাম্প বা পিণ্ড। এতে কোনো ধরণের ব্যথা বা অস্বস্তি দেখা যায় না, ফলে তা খেয়াল করেন না অনেকে। অণ্ডকোষে কোনো পিণ্ড তৈরি হয়েছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
৭) অণ্ডকোষ বা অণ্ডথলি ভারী অনুভূত হওয়া: কোনো পিণ্ড না থাকলেও অনেক পুরুষের কাছে অণ্ডথলি বা স্ক্রোটাম ভারী অনুভূত হতে পারে, চাপা ব্যথাও হতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারকে জানান এ লক্ষণটি।
৮) সময়ের আগেই বয়ঃসন্ধি: টেস্টিকুলার ক্যান্সার শুধু বয়স্কদেরই নয়, বরং টিনেজার বা বয়ঃসন্ধিকালের কিশোরদেরও হতে পারে। অন্য কিশোরদের তুলনায় আগে বয়ঃসন্ধির লক্ষণ যেমন স্বরভঙ্গ এবং গোঁফ-দাড়ি গজানোটা টেস্টিকুলার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত।
আরকে//