প্রধানমন্ত্রী পদে এখনই রাহুলের নাম নয়
প্রকাশিত : ১০:০৯ এএম, ২৪ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার
ভারতের আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ফের লড়ছেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত-ই। বিজেপির পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে বিজেপি শিবির নিশ্চিত করতে পারলেও, কংগ্রেসসহ বিরোধী জোটে এখনও রয়েছে দুতিয়ালিপনায়। কেউ মনে করছেন রাহুল হবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে রাহুলকে নরেন্দ্র মোদির শক্ত প্রতিপক্ষ ভাবা হলেও, এখনই প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ার জন্য তার নাম ঘোষণা করা হবে না।
কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধীকে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করার দাবি উঠেছিল সমস্বরে। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে দেশের আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার প্রকাশ্য সমর্থন এল। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রে জানানো হচ্ছে, এখনই তারা রাহুলের নাম ঘোষণা করে বিরোধী শিবিরে আতঙ্ক তৈরি করতে চায় না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জেডিএস নেতা এইচ ডি দেবগৌড়া আজ বলেন, ‘‘কর্নাটকে আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আছি। ফলে আমার এবং আমার দলের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মানতে দ্বিধা নেই।’’ লালু প্রসাদের দলের সাংসদ জয়প্রকাশ নারায়ণ যাদবও আজ বলেন, ‘‘বিজেপিকে হারাতে বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে লড়ছে আর সেই জোটের পয়লা নম্বর নেতা রাহুলই।’’
নরেন্দ্র মোদীকে লোকসভায় আলিঙ্গন করার জন্য রাহুলের সমালোচনা করেছিলেন আরজেডি-র মুখপাত্র শঙ্করচরণ ত্রিপাঠী। তাঁকে আজ দল থেকে বহিষ্কার করেছে আরজেডি। কিছু দিন আগে রাহুল সম্পর্কে কুকথা বলায় মায়াবতী তাঁর দলের নেতা জয়প্রকাশ সিংহকেও বহিষ্কার করেছিলেন। তবে মায়ার দলের নেতারা এখনই খোলাখুলি রাহুলের প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে কিছু বলছেন না। কারণ, মায়াবতীও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
একই মত সমাজবাদী পার্টির নেতা ঘনশ্যাম তিওয়ারিরও। তাঁর কথায়, বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী কে হবেন, ভোটের পরেই তা স্থির হবে। কংগ্রেস সব থেকে বড় দল হলে তাদেরই প্রধানমন্ত্রী হবে। এনসিপি-র তারিক আনোয়ারের মতও একই। কিন্তু গত কাল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুলকে মধ্যমণি করে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার দাবি উঠলেও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনই এটাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন।
দলের এক শীর্ষ নেতা আজ বলেন, ‘‘রাহুলের নেতৃত্ব আজ না-হয় কাল বাকি সব দলকে মানতেই হবে। সেই হিসেবে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির আবেগের বার্তাটি সকলের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। বিরোধীদের জোটবদ্ধ করাটাই এখন অগ্রাধিকার। প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নিয়ে বিতর্কে সে কাজ বাধা পাক, কংগ্রেস তা চায় না।’’
গত কালের বৈঠকে চিদম্বরমের সূত্র ছিল, ১২টি রাজ্যে কংগ্রেস দেড়শোর মতো আসন আনতে পারে। আর কংগ্রেস যেখানে দুর্বল, সেখানে বাকি বিরোধী দলের সঙ্গে জোট গড়ে আরও দেড়শো। সুতরাং মোদীকে হটাতে বিরোধী দলগুলিও প্রয়োজন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এমজে/