দুর্ঘটনার তথ্য নেই ট্রাফিক বিভাগে
বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা, নেই কার্যকর উদ্যোগ
অালী অাদনান
প্রকাশিত : ০৮:২০ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৩৭ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশের সড়ক-মহাসড়কে প্রতিদিন ঝড়ছে প্রাণ। এ সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী গত ছয় মাসে সড়কে ঝড়েছে তিন হাজার ২৬ প্রাণ। সড়ক দুর্ঘটনায় একটি মৃত্যুর সঙ্গে কোনো কোনো ক্ষেত্রে গোটা পরিবারেরই যেন মৃত্যু হয়। সড়ক দুর্ঘটনা বাড়লেও প্রতিরোধের তেমন কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় রোজ মারা যাচ্ছে ৬৪ জন। অার এসব সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ বছরে প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এভাবে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ ঝড়লেও তা থামাবার কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। বিভিন্ন সভা- সমাবেশ- সেমিনারে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য কার্যত সড়ক পথের অব্যবস্থাপনা এবং চালক, যাত্রী ও পথচারীদের নিয়ম না মানার প্রবণতাকে বার বার দায়ী করা হলেও নিয়ম মানার জন্যও নেওয়া হচ্ছে না কার্যকর কোনো উদ্যোগ। যেন বিষয়টি ‘কাজীর গরু কিতাবে অাছে গোয়ালে নেই`অবস্থা। সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি দিন দিন বাড়লেও নীরব প্রশাসন।
সড়ক দুর্ঘটনার জন্য কয়েকটি কারণকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেগুলো হচ্ছে-ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল, লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালকের ছড়াছড়ি, সড়কে অব্যবস্থাপনা ও অসচেতনতা।
সড়ক পথে দুর্ঘটনা রোধ ও গাড়ির নিয়ম মেনে চলার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতর বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। কিন্তু এ প্রতিবেদন লেখার সময় খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সরকারের এ বিভাগের কাছে কোনো ধরণের তথ্য-ই নেই। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা নিয়ে কিছু বলতে অপারগতার কথা জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, তাদের কাছে হালনাগাদ কোনো নেই। এবং এটি তাদের দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে না।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী, গত ছয় মাসে দেশে ২৮৬০টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৩০২৬ জন ও অাহত হয়েছেন ৮৫২০ জন। অার চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ২৩৩৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৭৩০ জন আহত এবং ২৪১১ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৮৮ জন চালক-শ্রমিক, ৪৫৩ জন শিক্ষার্থী, ৫৯ জন শিক্ষক, ১৯ জন সাংবাদিক, ১৯ জন চিকিৎসক, ০৪ জন প্রকোশলী, ০১ জন আইনজীবী, ১৩৬ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ১৩৫ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, ৪০০ জন নারী, ২৪৮ জন শিশু, ১৫৪ জন চাকরিজীবী এবং ৭৮৫৫ জন পথচারী ও অন্যান্য ব্যক্তি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে ।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি মাসের জানুয়ারিতে ৪৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৫৩ জন আহত ও ৫১৪ জন নিহত হন। এ মাসে ১৪০টি বাস, ২০৪টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ০৯টি হিউম্যান হলার, ৪১টি কার ও মাইক্রোবাস, ৫২টি অটোরিক্সা, ৫৮টি মোটরসাইকেল, ৩২টি ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ৫৩টি নছিমন- করিমন-ট্রাক্টর সড়ক দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ১৭৭টি। ৮০টি গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ে। ৮টি ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া চাকায় ওড়না পেছিয়ে ছয়জন, গাড়ি চাপায় ২০৫ জন পথচারী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
ফেব্রুয়ারিতে ৪৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫২১ জন আহত ও ৪৫৯ জন নিহত হন। এই মাসে ১১৩টি বাস, ১৮৯টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ৯টি হিউম্যান হলার, ৬৩টি অটোরিক্সা, ৩২টি কার ও মাইক্রোবাস, ৯৩টি মোটরসাইকেল, ২৩টি ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ৩৫টি নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর সড়ক দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে। এসব দুর্ঘটনায় ১৫৪টি মুখোমুখি সংঘর্ষ ও ২৭টি খাদে পড়ে, ছয়টি ট্রেন-যানবাহন সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ১৭০টি গাড়ি চাপার ঘটনা ঘটে।
মার্চ মাসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৪৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫০৬ জন আহত ও ৪৮৩ জন নিহত হয়েছেন। এ মাসে ১৩২টি বাস ২৩৬টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, সাতটি হিউম্যান হলার, ৩১টি অটোরিক্সা, ২৭টি কার ও মাইক্রোবাস, ৯০টি মোটরসাইকেল, ১৪টি ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ২৬টি নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এসব দুর্ঘটনায় ১৫৬টি মুখোমুখি সংঘষর্, ২৭টি খাদে পড়ে ও তিনটি ট্রেন- যানবাহনের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ২২২টি গাড়ির চাপায় ঘটনা ঘটে।
এপ্রিল মাসে ৪৫১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২২৩ জন আহত, ৪৭১ জন নিহত হন। এই মাসে ১১৪টি বাস, ১৮৪টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ছয়টি হিউম্যান হলার, ৬১টি অটোরিক্সা, ২৭টি কার ও মাইক্রোবাস, ৮২টি মোটরসাইকেল, ১৪টি ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ৩৬টি নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ১১৮টি সংঘর্ষ, ৮৯টি খাদে পড়ে একটি ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ২১১টি গাড়ির চাপার ঘটনা ঘটে।
মে মাসে ৪৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১২৭ জন আহত ৪৮৪ জন নিহত হন। ১০৮টি বাস, ২০৪টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, একটি হিউম্যান হলার, ৫৫টি অটোরিক্সা, ১৪টি কার ও মাইক্রোবাস, ৮৫টি মোটরসাইকেল, ২২টি ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ৪১টি নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এছাড়া চাকায় ওড়না পেচিয়ে দু’জন নিহত এবং ১৭১টি গাড়ির চাপার ঘটনা ঘটে এ মাসে।
জুন মাসে ৫২২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭৯০ জন আহত ৬১৫ জন নিহত হয়। এসময় ১৩৮টি বাস, ২০৪টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ছয়টি হিউম্যান হলার, ৮০টি অটোরিক্সা, ৫৪টি কার ও মাইক্রোবাস, ১০৭টি মোটরসাইকেল, ২৭টি ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ৩৩টি নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এছাড়া চাকায় ওড়না পেচিয়ে তিনজন নিহত এবং ১৯১টি গাড়ির চাপার ঘটনা ঘটে এ মাসে।
একই সংস্থার দেওয়া তথ্যানুযায়ী ২০১৭ সালে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হয় চার হাজার ৯৮৯টি। তাতে নিহতের সংখ্যা সাত হাজার ৩৯৭ জন। এর অাগের বছর দুর্ঘটনার সংখ্যা চার হাজার ৩১২টি। তাতে নিহত হয় ছয় হাজার ৫৫ জন। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনার বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫. ০৫ শতাংশ। যাতে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ২২. ০২ শতাংশ।
চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে কাজ করা `নিরাপদ সড়ক চাই`র তথ্যানুযায়ী, ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি পাঁচ হাজার ৬৪৫ জনের। যা ২০১৬ সালের তুলনায় দেড় হাজার বেশি।
জাতিসংঘ নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২০১১ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ অর্ধেকের নিচে কমিয়ে অানার কথা থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনা তো কমছেই না, বরং প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ বাড়ছে। জাতিসংঘ নির্ধারিত ওই কর্মসূচিতে যেসব সদস্য রাষ্ট্র স্বাক্ষর করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ওই কর্মসূচি অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে অানার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়গুলো হলো- সড়ক পরিবহন, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে প্রতিবেদনটি লেখার সময় এসব মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতিসংঘ নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুধু বিভিন্ন সড়কের বাঁক ঠিক করা ও মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ অাদালত পরিচালনা করা ছাড়া এখনও পর্যন্ত অন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়নি। কেন সম্ভব হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে অাকার ইঙ্গিতে অামলাতন্ত্রকে দায়ী করলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।
`নিরাপদ সড়ক চাই` অান্দোলনের প্রধান ইলিয়াস কাঞ্চন অবশ্য বলেন ভিন্ন কথা। একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালে অামরা যখন নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু করি তখন দেশে মানুষ ছিল সাড়ে দশ কোটি থেকে ১১ কোটি। গাড়ির সংখ্যা ছিল হাজারের কোটায় সীমাবদ্ধ। বর্তমানে মানুষ অাঠার কোটি। রেজিষ্টার্ড গাড়ি প্রায় ৩৩ লাখ। অানুপাতিক হারে অামাদের সড়ক দুর্ঘটনা কম। তবে হ্যাঁ, অামাদের কাংখিত উন্নয়ন হয়নি। অামরা সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে পারছি না তবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি।
ইলিয়াস কাঞ্চন অারও বলেন, দক্ষিন এশিয়ার এই অঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনা কমের দিক থেকে অামাদের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রথম অবস্থানে অাছে মালদ্বীপ। তিনি অারও বলেন, উন্নত দেশগুলোতেও সড়ক দুর্ঘটনা হয়। তবে সেখানে মৃতের সংখ্যা থাকে সর্বোচ্চ ২-৩ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সেখানে অামাদের হতাহতের সংখ্যা অনেক সময় ৪০-৪৫ জন ছাড়িয়ে যায়। যা খুবই দুঃখজনক।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার জন্য অনেকগুলো বিষয়কে দায়ী করেন। তারমধ্যে রয়েছে সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল ও অদক্ষ লাইসেন্সবিহীন চালকরাও এর জন্য দায়ী। তিনি অারও জানান, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৩৩ লাখ। তবে অনিবন্ধিতসহ মিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ যানবাহন নিয়মিত রাস্তায় চলাচল করে। এসব অনিবন্ধিত যানবাহনের মধ্যে ৭২ শতাংশের কোনো ধরণের ফিটনেস নেই। গাড়ির ফিটনেস অনুমোদন পাওয়ার জন্য ৪০ ধরণের পরীক্ষা- নীরিক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র দু`একটি পরীক্ষা করেই দিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি চালনার অনুমোদন।
অাবার দেশে বর্তমানে চালকের সংখ্যা প্রায় ৭২ লাখ। কিন্তু বিঅারটিএ দাবি করছে বিঅারটিএ- এর লাইসেন্স অাছে মাত্র ষোল লাখ চালকের। অর্থাৎ, বাকিরা সবাই অনুমোদনহীন ও লাইসেন্সবিহীন চালক সড়ক পথে গাড়ি চালাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৬ লাখ চালকের লাইসেন্স থাকলেও অন্যায় ও অবৈধ সুবিধা এবং সিবিএ কর্মকর্তাদের প্রভাবের কারণে প্রতি বছর অনেক অদক্ষ ও প্রশিক্ষণহীন চালক লাইসেন্স পাচ্ছে। ফলে যত্রতত্র বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
এভাবে মহামারীর মত বাড়তে থাকা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, অাইনে পরিবর্তন এনে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়ন সম্ভব নয়। মূল সমস্যা অব্যবস্থাপনা। অনিয়মের সংস্কৃতি বিরাজ থাকায় এখানে চালক, যাত্রী ও পথচারী কেউ নিয়ম মানতে চায় না। মোয়াজ্জেম হোসেন অারও বলেন, একজন মানুষ যখন রাস্তায় নেমে দেখবে সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী চলছে তখন তিনি নিজেও নিয়ম মানার তাগিদ ভেতর থেকে অনুভব করবেন।
এখানে সরকারের কোনো করনীয় অাছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সরকারের কোনো একটি সংস্থা পরিবহন সিস্টেম নিয়ে নিয়মিত কাজ করা উচিত। রাজধানী ঢাকার ক্ষেত্রে এ দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশন নিতে পারে।
সড়ক পথে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও গাড়ির নিয়ম মেনে চলার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতর বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। কিন্তু এ প্রতিবেদন লেখার সময় খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সরকারের এ বিভাগের কাছে কোনো ধরণের তথ্য-ই নেই। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল বিভাগের কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, অামরা সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কিছু বলতে পারব না। এসবের হালনাগাদ কোন তথ্য রাখা অামাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
মহামারীর মত এভাবে ছড়িয়ে পড়া সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রনে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট হবে, পাশাপাশি গাড়ি চালক, যাত্রী ও পথচারী নিয়ম মানতে উৎসাহী হব সেটাই প্রত্যাশা।
এসএইচ/