1. প্রচ্ছদ
2. খেলাধুলা

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে লজ্জাজনক হোয়াইটওয়াশের পর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে টিম বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থেকে সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছে সাকিব-মুশফিকরা। গায়নার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। অন্যদিকে, সিরিজে টিকে থাকতে এই ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতেই হবে গেইলদের। তারই জের ধরে শিমরন হ্যাটমায়ারের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ক্যারিবীয়ানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৯.৩ ওভারে ২৭১ রান। ফলে ২৭২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামে টিম বাংলাদেশ।
ব্যাট হাতে শুরুতেই ধাক্কা খায় টাইগাররা। ৯ বলে ব্যক্তিগত ২৩ রানে বিদায় নেন ওডপনার এনামুল হক। তবে সেই চাপ সামলে দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান তামিম-সাকিব জুটি। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ম্যাচেও অর্ধ শতক তুলে নেন তামিম। ৭১ বলে ৬টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অর্ধ শতক পূরণ করেন তামিম। তবে ইনিংসটি বেশি বড় করতে পারেননি তিনি। ৮৫ বলে ৫৪ রান করে বিদায় নেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
এর পরপরই দুর্দান্ত ফর্মে থাকা টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান অর্ধ শতক পূরণ করে। ৬৩ বলে ৪টি বাউন্ডারিতে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। তবে বাঁহাতি এই অরাউন্ডারও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি। ৭২ বলে ৫টি বাউন্ডারিতে ৫৬ রান করে তিনি বিদায় নেন।

তবে এদিন ম্যাচের শুরুতে বল হাতে দুর্দান্ত সাফল্য পায় টাইগারা। এভিন লুইসকে ব্যক্তিগত ১২ রানে এলবিডব্লিউ করে বিদায় জানান মাশরাফি। ১৮ বলে ১টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে আউট হন তিনি। এরপর দলীয় ৫৫ রানে ক্রিস গেইলকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। ৩৮ বলে ৩টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ২৯ রানে বিদায় নেন এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।
বল হাতে জ্বলে ওঠেন সাকিবও। ৪৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৫ রান করা শাই হোপকে আউট করেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। দলীয় ৭৭ রানে সাব্বির রহমানের তালুবন্দী হন হোপ। এরপর রুবেলের বলে ব্যক্তিগত ১২ রানে মুশফিকের তালুবন্দী হয়ে মাঠ ছড়েন জেসন মোহাম্মদ। রোভম্যান পাওয়েলকেও ৪৪ রানে বোল্ড করেন টাইগার পেসার রুবেল। ৭ রানে জেসন হোল্ডারকে সাকিবের বলে স্ট্যাম্পিং করেন মুশফিক। দলীয় ২৩৬ রানে অ্যাশলে নার্সকে বিদায় জানান মোস্তাফিজ। এরপর ব্যক্তিগত ৪ রানে কিমো পলকে রুবেলের বলে তালুবন্দী করেন মুশফিক। দলীয় ২৪২ রানে দেবেন্দ্র বিশুকে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। অবশেষে ৪৯.৩ বলে দলীয় ২৭১ রানে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন হ্যাটমায়ার।
এর আগে, ব্যাট হাতে একাই লড়তে থাকেন হ্যাটমায়ার। ৮৪ বলে ১০০ রান তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৯৩ বলে ১২৫ রানে থামে তার ইনিংস। যার মধ্যে ছিল ৩টি বাউন্ডারি আর ৭টি ওভার বাউন্ডারি।
এসএ/