ইমরান খানই হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৮:৪৮ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার
খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির মাঠে এসেও ছক্কা হাঁকালেন ইমরান খান। যৌবনে ক্রিকেটের বাইশ গজে কাঁপিয়েছেন। আর পড়ন্ত বেলায় পুরো পাকিস্তান। একেবারে জাত ‘কাপ্তান’ যাকে বলে। এক সময় দেশের হয়ে দল চালিয়েছেন। এখন প্রধানমন্ত্রী হয়ে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন পুরো দেশ। গুজব-কানকথাই শেষপর্যন্ত সত্য হল। সেনাশক্তিতে হোক আর কপালজোরেই হোক- জয়ের মালা উঠছে ইমরান খানের গলাতেই।
সে কথাই বলছে নির্বাচনের বেসরকারি ফল। শেষ খবরের ফলাফলে দেখা গেছে, ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পেতে যাচ্ছে ১০৫ আসন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পাচ্ছে ৭১ আসন। আর বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৩৯ ও অন্যরা ৫৭ আসন। সরকার গঠন করার জন্য প্রয়োজন ১৩৭ আসনে জয়।
ফলে হামলা-সংঘর্ষে শেষ হওয়া আতঙ্কের নির্বাচনে আরেক সমস্যা ভর করছে পাকিস্তানে। কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠিত হচ্ছে দেশটিতে। সেক্ষেত্রে জোট সরকার আসবে পাকিস্তানে। সরকার গঠন করতে পিপিপিকে বাদ দিলে ইমরানকে অন্য দুই বা ততধিক দলকে কাছে টানতে হবে। কারণ প্রয়োজনীয় আসন পূরণে অন্য দলগুলোর প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা খুবই সীমিত। পাকিস্তানের পার্লামেন্ট কত দিন ঝুলে থাকবে- সেটা এখন অনেকটা অনিশ্চিত। ইমরান তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দিয়ে যত দ্রুত অন্য দলগুলো বাগে আনতে পারবেন, তত দ্রুতই এর সমাধান হবে।
বুধবার ভোট গ্রহণ শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সে হিসাব কাঁটায় কাঁটায় মিলে গেল। ‘ঐতিহাসিক নিরাপত্তাকে’ বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটার ভোট কেন্দ্রের ঠিক সামনেই আত্মঘাতী হামলা করে জঙ্গিরা। শুধু জঙ্গিরাই নয়, ভোট কেন্দ্র দখলে পেশিশক্তিতে মত্ত হয়ে উঠেছিল বড় দলগুলোর কর্মী-সমর্থকরাও। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। কোনো কোনো কেন্দ্রে পিটিআই ও আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) মধ্যে সংঘাত হয়।
পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখাওয়া ও সিন্ধুতে দফায় দফায় সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ২ জন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট আসন ৩৪২টি। এর মধ্যে সরাসরি নির্বাচন ২৭২ আসনে। বাকি ৬০ আসন নারী ও ১০টি সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত। পাকিস্তানের ১১তম জাতীয় নির্বাচনে একযোগে ৮৫ হাজার ৫০৮টি ভোট কেন্দ্রে বুধবার সকাল ৬টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়, শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা।
এসএ/