ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলার চার্জশিট আজ

প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের চারটি ধারায় প্রস্তুত অভিযোগপত্রে ফয়জুর ওরফে ফয়জুল হাসান ওরফে শফিকুরকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। ফয়জুর `স্বপ্রণোদিত` হয়ে ড. জাফর ইকবালকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালায় বলে তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষ।

পরিতোষ ঘোষ জানান, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৮, ১১, ১২ ও ১৩ ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন- ফয়েজের বন্ধু সোহাগ মিয়া, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফয়জুর রহমান ও ভাই এনামুল হাসান।

সুনামগঞ্জের দিরাই থানার কালিয়াকাপনের বাসিন্দা ফয়জুরের পরিবার সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার এলাকায় বসবাস করত। বর্তমানে তারা সবাই সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। এই মামলার তদন্তে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রযুক্তিগত ও কারিগরি সহযোগিতা নেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ মার্চ বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠানে ড. জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টায় ছুরিকাঘাত করেন ফয়জুর। পরে তাকে তাৎক্ষণিক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে ১৪ মার্চ তিনি সিলেটে ফেরেন। এ হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করেন। এতে ফয়জুরকে প্রধান আসামি করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গত ৮ মার্চ ফয়জুরকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর ফয়জুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পাশাপাশি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ফয়জুলের বাবা, মা, ভাই, মামা ও বন্ধু রিমান্ড শেষে আদালতে পৃথক জবানবন্দি দেন।

একে//