ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২২ ১৪৩১

চন্দ্রগ্রহণ কখন, কোথায় দেখতে পাবেন

প্রকাশিত : ০৭:২১ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:২৫ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

শুক্রবার দেখা যাবে একুশ শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ। গ্রিনিচ মান সময় রাত ৮টা ২১ মিনিটে শুরু হওয়া এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে প্রায় ১ ঘন্টা ৪৩ মিনিট ধরে।

যখন চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যায় তখন পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হয়। সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় আসলেই হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণকে `ব্লাড মুন`ও বলা হচ্ছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ভাষ্য অনুযায়ী- সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছুঁয়ে ছড়িয়ে যায়, সেই আলো আবার পৃথিবীতে আসার পথে অন্য সব রঙ হারিয়ে লাল রঙটি এসে আমাদের চোখে পৌঁছায়, কারণ এই রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি। আর এ কারণে চাঁদ অনেকটা `রক্তিম` দেখায়, তাই এটাকে `ব্লাড মুন` বলা হয়।

বিশ্বের যেসব দেশ থেকে এটি দেখা যাবে, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড থেকে দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ। তবে সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং সেন্ট্রাল এশিয়া থেকে। সেন্ট্রাল এবং নর্থ আমেরিকা থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের জলবায়ু শাখা জানিয়েছে- বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১৩ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে। তবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে, আর কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে।

বাংলাদেশের যেখানে এ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে: ঢাকার বিজ্ঞান জাদুঘরে দর্শনার্থীদের জন্য নিয়মিতভাবে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ দেখার আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞান জাদুঘরের সিনিয়র কিউরেটর এ এস এম শফিউল আলম তালুকদার জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে উন্মুক্ত থাকবে জাদুঘর। চন্দ্রগ্রহণ উপলক্ষে থাকবে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনার। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে গ্রহণ দেখারও আয়োজন হবে।

এর আগে ২০০০ সালের ১৬ জুলাই ১০৬ মিনিট স্থায়ী চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। আর পরবর্তী পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে ২০২৮ সালে ৩১ ডিসেম্বর। তবে সেটা এবারের মত এত দীর্ঘ সময় ধরে হবে না।

সূত্র- বিবিসি

আরকে//