ঢাকা, বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪,   আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

নিয়মিত হাঁটার ৭ উপকারিতা

প্রকাশিত : ১০:৪৬ এএম, ২৭ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার

আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে হাঁটলে বা দৌড়ালে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। আসলে হাঁটার মাধ্যমে সারা শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। এতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, ওজন বৃদ্ধি, ব্লাড প্রসোর, স্ট্রোক এবং ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষার সুযোগ পায় না।

১) ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কমায়

আসলে সকালে দৌঁড়ানোর অভ্যাস করলে সারা শরীরে বহুক্ষণ ধরে সূর্যালোক পরে। ফলে শরীরের ভেতরে ভিটামনিন ডি-এর ঘাটতি কমতে শুরু করে।

২) স্ট্রেসের মাত্রা কমে

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ২০-৩০ মিনিট করে হালকা চালে দৌঁড়ালে মস্তিষ্কের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। ফলে দুশ্চিন্তা এবং অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমতে শুরু করে।

৩) মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি

সাইকোনমিক বুলেটিন অ্যান্ড রিভিউ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত দৌড়ানোর অভ্যাস করলে মস্তিষ্কের ভেতরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এর মাধ্যমে ব্রেনের উপর বয়সের ছাপ পরে না। সেই সঙ্গে বুদ্ধিও বাড়ে।

৪) মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে

মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্স ইন স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সারসাইজ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়ম অনুসারে দৌড়ানোর সময় মস্তিষ্কের ভেতরে এন্ডোক্যানাবিনয়েডের মতো ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মন চাঙ্গা হয়ে উঠে। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদের অবসান ঘটে।

৫)  শরীরের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, দৌড়ানোর সময় শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ ঝরতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, দৌড় থামিয়ে দেওয়ার অনেক পর পর্যন্তও এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। ফলে ব্যাপক মাত্রায় ওজন কমে। এই কারণেই তো শরীরকে মেদ মুক্ত রাখতে চিকিৎসকেরা নিয়মিত দৌড়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

৬) গোড়ালির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

সারা দিন ধরে শরীরে উপরের অংশের ভার বহন করে চলে গোড়লি। তাই তো একটা বয়সের পর থেকে গোড়ালির চোট পাওয়ার বা অন্য কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি  যদি এ সমস্যা দূর করতে চান তাহলে নিয়মিত দৌড়াতে হবে। কারণ দৌড়নোর সময় শরীরের এই বিশেষ অংশের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

৭) ক্যান্সার প্রতিরোধে

ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। কেননা দৌঁড়ানোর সময় শরীরে ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যা ক্যান্সারের মাতো রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। প্রসঙ্গত, চিকিৎসকেরা এমনটাও বলে থাকেন যে যারা ইতিমধ্যেই ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তারাও যদি নিয়মিত কিছু সময় দৌড়াতে পারেন, তাহলে দারুন উপকার পাবেন।

এমএইচ/