ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২২ ১৪৩১

পাকিস্তানে স্থিতিশীল পরিবেশ দেখতে চায় চীন

প্রকাশিত : ০২:০৬ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে চলা ইমরান খানের প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির বিষয়েও বিশ্বজুড়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের পর প্রথম বক্তব্যে সে বিষয়ে ইমরান তার নীতিও তুলে ধরেছেন। ইমরান খান তার পররাষ্ট্রনীতিতে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক। এ ছাড়া আফগানিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, ইরান ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।

এদিকে ইমরান খানের বিজয় দৃশ্যমান হয়ে যাওয়ার পর তার প্রশাসনের বিষয়ে নিজেদের ভাবনার কথা তুলে ধরেছে পাকিস্তানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত মিত্র চীন। এতে পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে চীন।

ইমরানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের জন্য চীনের বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে। এতে আন্তর্জাতিক নানা বিষয়াশয় সম্পর্কে চীনের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়।

চীনের এই ট্যাবলয়েড দৈনিকে আন্তর্জাতিক সংস্করণে প্রায় ২০ বিদেশি বিশেষজ্ঞ কাজ করেন। পাকিস্তানের বুধবারের নির্বাচন নিয়ে দৈনিকটির পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হল-

ধারাবাহিক আত্মঘাতী হামলা ও কারচুপির অভিযোগের মধ্য দিয়ে বুধবার পাকিস্তানের জনগণ তাদের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এতে বৃহস্পতিবার দেশটির তেহরিক-ই-ইনসাফ(পিটিআই) পার্টির প্রধান ইমরান খান নিজের বিজয় ঘোষণা করেছেন।

ইসলামাবাদের সামনে অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে। দেশটির অর্থনৈতিক বিপর্যয় এখন চরম পর্যায়ে চলে গেছে। সমালোচকরা বলেন, পাকিস্তান ঋণসংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। এর ওপর `মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা` হিসেবে বারবার সন্ত্রাসী হামলার দুঃস্বপ্ন রয়েই গেছে।

চীন সবসময়ই পাক নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর একযোগে এসব হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে। সর্বশেষ বুধবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন।

কাজেই নতুন সরকারকে অবশ্যই স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। এ ছাড়া নতুন নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে হবে।

আরকে//