ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

কয়লা চুরি বিএনপিই শুরু করেছিল: হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত : ০৪:২৬ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:১১ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার

বড় পুকুরিয়ায় কয়লা চুরি বিএনপিই শুরু করেছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ২০০৫-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বড় পুকুরিয়ার কয়লা চুরি শুরু করেছিলে। আর আজকে চোর ধরা পড়েছে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লা‌বের কনফা‌রেন্স লাউ‌ঞ্জে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত `জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রাজনীতি` শীর্ষক আ‌লোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

হাসান মাহমুদ বলেন, ২০০৫ সালে আপনারা (বিএনপি) বড় পুকুরিয়ার কয়লা চুরি শুরু করেছিলেন। সেই ধারাবাহিতায় কিছু কর্মকর্তা চুরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমাদের সরকার সেই চোরদের ধরেছে এবং এই চোরদের ধরার প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে ২০০৫ সালে কারা চুরির সঙ্গে যুক্ত ছিল সেটিও নিশ্চয় বেরিয়ে আসবে।

বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী বলেন, যারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় চুরি এবং দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়, যাদের চেয়ারপারসন এতিমের টাকা চুরি করার কারণে শাস্তি পেয়ে সাজা ভোগ করছেন, যাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুই দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে দেশান্তরিত হয়েছেন এবং লন্ডনে টেক্স ফাইলে চুরির অর্থ জায়েজ করার জন্যই তিনি বলেছেন জুয়া খেলার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেছেন, যাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এফবিআই দেশে এসে স্বাক্ষ্য দিয়ে যায়, যাদের চেয়ারপারসনের প্রয়াত পুত্র দেশান্তরিত হয়ে মালেশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে ছিলেন, যাদের দুর্নীতি সিঙ্গাপুরে উৎঘাটিত হয়, যাদের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে তাদের (বিএনপির) দলের নেতাদের আমেরিকাতে শাস্তি হয়, তারা আবার বড় গলায় কথা বলেন। অর্থাৎ চোরের মায়ের বড় গলা।

বিএনপি তৃনমূলের নেতাকর্মী ঢাকায় আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃনমূলের নেতাকর্মী যাদের ঢাকায় ডাকছেন তাদের ওপর কি আপনাদের আস্থা আছে? আস্থা নাই। কারণ যেই নেতারা তাদের কর্মীদের মাঠে ফেলে পালিয়ে যায় সেই নেতাদের ওপর কর্মীদের কোনও আস্থা থাকে না। তৃণমূল নেতাদের কাছে আমি আশা করবো তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বলবেন আপনারা দয়া করে আর পেট্টোল বোমা এবং গাড়ি ভাংচুরের কর্মসুচি দিবেন না বরং নির্বাচনে যাবার কর্মসূচি আপনারা দেন।

আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ নওশের আলীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েত ইসলাম স্বপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেন, সংগঠনের সভাপতি মো. জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।

একে/ এসএইচ/