ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২২ ১৪৩১

টাইগারদের সিরিজ জেতার লড়াই আজ

প্রকাশিত : ০৮:১৩ এএম, ২৮ জুলাই ২০১৮ শনিবার

৪৩ রানে বিধ্বস্ত হয়ে টেস্ট সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহসটাই হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সে ধাক্কাতেই পরের তিন ইনিংসের একটিতেও ২০০ রানও করতে পারেনি দল। দ্বিতীয় ওয়ানডের ধাক্কাটা এর চেয়ে কম না, বরং বেশিই। হাতের মুঠোয় চলে আসা জয় এভাবে শেষ ওভারে হাতছাড়া হওয়ার যন্ত্রণা রীতিমতো কুরে কুরে খাচ্ছে বাংলাদেশ শিবিরকে; কিন্তু আজ তো সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে তো চলবে না। টাইগাররা কি পারবে সব ভুলে পূর্ণোদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওয়ানডে সিরিজটা ছিনিয়ে আনতে! এর উত্তর মিলবে আজ। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ।
চিন্তার বিষয় হলো, টেস্ট সিরিজের বিভীষিকা থেকে যিনি দলকে টেনে তুলেছিলেন, সেই মাশরাফির কণ্ঠেও ৩ রানের হারের পর ভর করেছে হতাশা। ওই হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাওয়া বাংলাদেশি সংবাদকর্মীদের তিনিই উল্টো প্রশ্ন করে বসেছিলেন, `এভাবে আর কত দিন, বলেন তো?` মাশরাফির মতো লড়াকু, দৃঢ়চেতা একজন মানুষ কতটা হতাশ হলে এভাবে কথা বলতে পারেন! অবশ্য শেষ পর্যন্ত দলকে জাগিয়ে তোলার দায়িত্বটা তাকেই নিতে হবে। তিনি যে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাবেন, সে আত্মবিশ্বাস সবারই আছে। অতীতে অনেকবার তার নেতৃত্বে দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয়, মাত্র দু`দিনের মধ্যে তিনি দলকে চাঙ্গা করতে পারেন কি-না। যদি প্রথম ওয়ানডের মতো একাট্টা হয়ে খেলতে পারেন, তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জেতা মোটেও কঠিন কিছু নয়। আর সিরিজ ১-১ সমতা চললেও দুটি ম্যাচেই কিন্তু ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে তো প্রতিটি বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে ৪৮ রানে জিতেছে টাইগাররা। ওই ম্যাচে কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রায় পুরোটা সময় নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতেই ছিল। কেবল শেষ ওভারে এসে অভাবনীয়ভাবে লাগামটা ছুটে যায়। ৭ বলে প্রয়োজন ছিল ৮ রান, হাতে ৬ উইকেট। ওই অবস্থায় দুটি ফুল টস বলে ছয় মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসেন মুশফিক ও সাব্বির। তাতেই অভাবনীয়ভাব তীরে এসে তরী ডুবে যায়।
গায়ানা ছেড়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় গভীর রাতে সেন্ট কিসটে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। ভ্রমণক্লান্তির কারণে গতকাল দুপুরে ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, ঐচ্ছিক হলেও দলের অধিকাংশ ক্রিকেটার অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন। আর নতুন শহরে এসেছেন বলে দ্বিতীয় ওয়ানডের পর তৈরি হওয়া গুমোট ভাবটাও নাকি কেটে গেছে। বাংলাদেশ দলের আরও একটি ভরসার জায়গা হলো, দলের পাঁচ সিনিয়র ফর্মে আছেন। প্রথম ওয়ানডের গত ম্যাচেও রান পেয়েছেন সাকিব, তামিম ও মুশফিক। মাহমুদুল্লাহও চমৎকার ছন্দে আছেন। বোলিংয়েও মাশরাফি, সাকিব, মিরাজরা ভালোই পারফর্ম করছেন। তবে এনামুল হক বিজয় ও সাব্বির রহমানদের দায়িত্ব নিতে হবে। তবে আজকের একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে। গত দুই ম্যাচে ব্যর্থ সাব্বিরের বদলে আজ লিটন দাসকে একাদশে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বোলিংয়ে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।
বাংলাদেশের জন্য আরও একটি স্বস্তির খবর হলো, গায়ানার মতো ওয়ার্নার পার্কে উইকেটও স্পিনবান্ধব। ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু হওয়া এ মাঠে উপমহাদেশীয় স্পিনারের দাপট বেশি দেখা গেছে। তবে এখানে প্রচুর রান হয়। এ মাঠে ৩শ`র বেশি ইনিংস আছে সাতটি। তাই আজ ব্যাটসম্যানদের গুরুদায়িত্বটা নিতে হবে।
এসএ/