ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২২ ১৪৩১

তিন সিটির নির্বাচন

আজ মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচার-প্রচারণা

প্রকাশিত : ০৮:২৫ এএম, ২৮ জুলাই ২০১৮ শনিবার

আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আজ শনিবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার। ১০ জুলাই থেকে এ তিন সিটির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ছুটেছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি।

গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতের পর তিন সিটিতে বহিরাগতদের অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এরই মধ্যে নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করেছেন।
ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিন সিটিই নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, নির্বাহী-বিচারিক হাকিমসহ মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ইসির চাহিদা অনুযায়ী মোতায়েন করা হবে।

সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিন সিটিতে একটানা ভোটগ্রহণ হবে।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ভোট শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে আজ রাত ১২টা থেকে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকবে। মিছিল-শোভাযাত্রাও নিষিদ্ধ থাকবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংশ্নিষ্ট সিটি এলাকার বাসিন্দা নন এমন ব্যক্তিদের শুক্রবার রাত ১২টায় নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রভাবশালীরা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করলে বা অবৈধ প্রভাবের চেষ্টা করলে পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে। ভোটের তিন দিন আগে থেকে ভোটের পরে আরও তিন দিন পর্যন্ত বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের জন্য অস্ত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
সিলেটে আজ শনিবার মধ্যরাত থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে অন্যান্য যানবাহন চলাচলে। একই সময় থেকে বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শনেও দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ভোট গ্রহণের পরদিন ৩১ জুলাই পর্যন্ত এসব নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) গতকাল শুক্রবার এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে।
এদিকে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী থাকায় নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক উত্তাপ বিরাজ করছে। নির্বাচন কমিশনও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। নির্বাচনে যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে তাদের তৎপরতাও বাড়াতে বলা হয়েছে।
এসএ/