ঢাকা, বুধবার   ০৯ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৪ ১৪৩১

উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশিত : ০৯:৪৯ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৪৯ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৬ মঙ্গলবার

দেশের উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, করতোয়াসহ বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি। পানি বন্দী হয়ে আছে লাখো পরিবার। বাঁধ ভেঙ্গে গেছে লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায়। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। এসব বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট। টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে পঞ্চগড়ের নিম্নাঞ্চল। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে আবাদি জমি, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর রাস্তাঘাট। পানিবন্দী হয়ে আছে জেলার পঞ্চগড় পৌর এলাকা ও তেঁতুলিয়া উপজেলার হাজারো গ্রামের বাসিন্দা। বিশুদ্ধ পানি আর খাবারের অভাবে অনাহারে দিন কাটছে এসব মানুষের। এদিকে ধরলার প্রবল ¯্রােতে ভেঙ্গে গেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুটি গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধটি। ভেসে গেছে ঘরবড়ি, মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট আর ফসলের ক্ষেত। বন্যা কবলিত ৩৫ হাজার পরিবারের প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দী আর দূর্গত দিন যাপন করছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সরকারী ত্রান সহযোগিতা দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। গাইবান্ধায় নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে পাল্লদিয়ে বাড়ছে নদী ভাঙ্গন। তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর চরাঞ্চল জুড়ে শুধু পানি। মানবেতর দিন কাটাচ্ছে প্রায় ২৩টি চরের বাসিন্দারা। ত্রানের জন্যে হাহাকার করছে বানভাসী মানুষ। দূর্গতদের মধ্যে প্রশাসন কিছুত্রান বিতরন করলেও তা অনেকেই তা না পাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন বন্যা কবলিত মানুষেরা।